কালকিনিতে নদী ভাঙা মানুষের কান্না থামছে না

এইচ এম মিলন, কালকিনি (মাদারীপুর)
 | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২৬

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর দাপটে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে পূর্ব আলিপুর ও পশ্চিম আলিপুর এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

একদিকে নদী ভাঙছে অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর কান্না কোনভাবেই যেন থামছে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ না পাওয়ায় নদী ভাঙন কবলিত মানুষের হাহাকার বেড়েই চলছে বলে অভিযোগে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পূর্ব আলিপুর ও পশ্চিম আলিপুর এলাকা ঘেষে বয়ে গেছে রাক্ষুশী নদী আড়িয়াল খাঁ। গত একমাস ধরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে ওই সমস্ত এলাকা। এতে করে শতাধিক পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতভিটা, ফসলি জমি। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক পরিবার। এরপর সরকারি পর্যায় ওই ভাঙন কবলিত এলাকায় কিছু ত্রাণ দিলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

অপরদিকে গত দুই তিন দিন ধরে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। এতে করে নদী ভাঙনের কবলে পরেছেন সিকীম আলি সরদার, সেলিনা বেগম, সোবাহান সরদার, কুদ্দুস শেখ, আবু তাহের ফকির, এচাহাক বেপারী, সালমা বেগম ও বাকের ফকিরসহ অর্ধশত গ্রামবাসী।

তাদের বাড়ি-ঘড় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এখন দেখা দিয়েছে আতংক ছাপ ও ত্রাণের হাহাকার।

ত্রাণ নিতে আসা আলীপুর গ্রামের সোবাহান সরদারের স্ত্রী সালমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বসত ভিটা এই নিয়ে তিনবার নদীতে ভাঙছে। আমি এ পর্যন্ত ১২কেজি চাল পেয়েছি। তা চার দিনেই শেষ। আমি এখন আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে কি ভাবে বাঁচবো।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহাদ হোসেন বলেন, আমরা ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে। আবার ওই এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :