বাগেরহাটে শিক্ষককে মারধরে চাকরি গেল স্কুল কর্মচারীর
বাগেরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দিবা শাখার (ডে-শিপ্ট) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক লিপন কুমার পালকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন অস্থায়ী এক কর্মচারী মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রাসেল শেখ ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধর করে। এই ঘটনার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন খণ্ডকালীন অস্থায়ী কর্মচারী রাসেল শেখকে চাকরিচ্যুত করেছেন। প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন তাতে খুশি হতে পারেনি ওই ক্ষুব্দ শিক্ষক।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক লিপন কুমার পাল অভিযোগ করেন, শনিবার আড়াইটার দিকে আমি ক্লাস থেকে বেরিয়ে বাইরে আসলে বিদ্যালয়ের অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রাসেল আমাকে দেখে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে করে বলে তোরা এই শিক্ষককে সম্মান করিস না কেন? তখন আমি তাকে বলি তোমার এই কথার উদ্দেশ্যে কি? এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে এলোপাথাড়ি চড় কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। এ দেখে ছাত্ররা ছুটে আসলে রাসেল প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেয়। আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবহিত করলে প্রধান শিক্ষক তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দিয়ে মিটিয়ে দেন।
তিনি যে বিচার করেছেন, তাতে আমি মোটেই খুশি হতে পারিনি।
তিনি জানান, চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী প্রকাশ্যে এভাবে আমাকে মারধর করল শুধু চাকরিচ্যুতিই কি তার শাস্তি হতে পারে। তিনি সুবিচার করেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শুনেই অস্থায়ী কর্মচারী রাসেলকে চাকরিচ্যুত করেছি। আমার হাতে যে ক্ষমতা রয়েছে তার সর্বোচ্চটা প্রয়োগ করেছি। এর বেশিকিছু আমার করার নেই।
মাধ্যমিকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষক লিপন পালের গায়ে হাত তুলে ওই কর্মচারী ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাকে শুধু চাকরিচ্যুত করলেই হবে না। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)