গ্রাহকের টাকা নিয়ে ‘মানি লজিক’ উধাও

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২১:০৭

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭শ গ্রাহকের শেয়ারের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে মানি লজিক ই-মল লিমিটেড নামে একটি হায় হায় কোম্পানি। শনিবার প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা সৈয়দপুর থানায় দেয়া লিখিত একটি অভিযোগে এমন তথ্য মিলেছে।

সূত্র মতে, বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে মানি লজিক ই-মল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি সৈয়দপুর প্লাজার ২য় তলায় সৈয়দপুর শাখা অফিস হিসেবে ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। অফিসটির পরিচালনার দায়িত্ব নেন শহরের চাঁদনগরের নুর ইসলাম পাপ্পু, পুরাতন বাবু পাড়ার মো. মুন্না, আতিয়ার কলোনির খন্দকার গোলাম মাওলা, কয়ানিজপাড়ার সাদেকুল ইসলাম সাদেক, খেজুরবাগ মসজিদ এলাকার আহাদ আলী, চাঁদনগরের জামিল ও আরফিন শুভ।

তারা সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে মিনা বাজার, স্বপ্ন, আগরা ভিত্তিক শপিং মল গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২৫ হাজার টাকা হিসেবে একটি করে শেয়ারের জন্য গ্রাহক তৈরি করে। শর্ত হিসেবে ওই শেয়ার প্রদানকারীকে মাসিক ২ হাজার ৫শ টাকা মুনাফা দেয়া হবে। আর এমন অভাবনীয় মুনাফার লোভে অনেকেই ১০ থেকে ২০টি পর্যন্ত শেয়ারের টাকা ওই চক্রের হাতে তুলে দেয়। প্রথম ৩ তিন মাস মুনাফার টাকা প্রদান করে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে থাকে মানি লজিকের চক্রটি। পরে চলতি বছরের ৩ জুন অফিসের একটি অংশে শপিং মল চালু করে। ফলে শেয়ারকারীদের সংখ্যা অকল্পনীয় হারে বাড়তে থাকে।

শপিং মল চালুর কদিনের মাথায় এক রাতে সব মালামাল নিয়ে উধাও হয় মানি লজিকের সৈয়দপুর অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। পরদিন শেয়ার প্রদানকারী অফিস তালাবদ্ধ দেখে মাথায় হাত পড়ে। অফিস পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যাক্তিদের খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা ঢাকায় অবস্থান করছে। সেখান থেকে শেয়ারকারীদের প্রদেয় অর্থ ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দিনাতিপাত করে। অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে শেয়ার প্রদানকারীদের পক্ষে আ: আহাদ নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী আহাদ বলেন, জমি বন্ধক রেখে আমি তিনটি শেয়ারের টাকা প্রদান করেছি। অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বেশি মুনাফার আশায় শেয়ারের অর্থ প্রদান করেছে। আজ তারা মূলধন হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, সরল মনে বিশ্বাস করে আমরা সাত শতাধিক গ্রাহক প্রায় ৫ কোটি টাকা শেয়ার হিসেবে মানি লজিক ই-মল লিমিটেডের সৈয়দপুর শাখা পরিচালনাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছি।

তিনি বলেন, শেয়ারের টাকা ফেরত না পেলে আমরা প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :