প্রেমে সাড়া না দেয়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘অপহরণ’

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ২১:১৩
প্রতীকী ছবি

প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপহৃত ওই কিশোরী বাটামারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অপহরণকারী ইলিয়াস একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং বাটমারা গ্রামের আলমগীর দফাদারের ছেলে।

ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের আট নাম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটামারা ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে ইলিয়াছ ও তার চার সঙ্গী অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মেয়েটিকে হাত পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি ধান ক্ষেতের পাশে ছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যায়।

ওই গ্রামের তোফায়েল আহমেদ জানান, শনিবার এশার নামাজ পড়ার জন্য তিনি ওযু করতে বাইরে যান। এ সময় তিনি পাশের একটি ধান ক্ষেত থেকে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে টর্চ লাইট মারলে মুখে টেপ পেঁচানো, দুই হাত পেছন দিকে কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দিলে তারা এসে মেয়েটিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্কুলছাত্রীর মা রেনু বিবির অভিযোগ, ইলিয়াছ মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এনিয়ে দুইবার প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশও করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় তার মেয়ে বাইরে বাথরুমে যায়। ওই সময় ওৎ পেতে থাকা ইলিয়াছ ও তার সঙ্গীরা তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়।

মেয়েটির বাবা আ. বারেক জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবেন।

বাটামারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব চন্দ্র দে জানান, শনিবার স্কুলে আসার পথে ওই মেয়েটিকে ইলিয়াছ উত্যক্ত করেছে বলে তার কাছে অভিযোগ এসেছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান জানান, গত ২০ ও ২৩ আগস্ট দুইবার অভিযোগ পাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ ওই ছেলের বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে বসেন। ইলিয়াছের বাবা-মা ছেলেকে শাস্তি দেন। ছেলে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে মা-বাবা মুচলেকা দেয়ার পর ইলিয়াছ ছাড়পত্র থেকে রক্ষা পায়। পুনরায় শনিবার স্কুলে আসার পথে উত্ত্যক্ত করার কথাও ইলিযাছের অভিভাবকদের জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম শাহিন জানান, মেয়েটি এখন শঙ্কামুক্ত। তবে তার মধ্যে এখনও মানসিক ভীতি কাজ করছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :