ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বকশীগঞ্জের তাঁতপল্লী

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩৫

ঈদকে সামনে রেখে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁতপল্লীর শ্রমিকেরা। বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন তারা। তাঁতের খটখট শব্দে এখন মুখরিত পাখিমারা তাঁতপল্লী এলাকা। ২৪ ঘণ্টাই পার করছেন ব্যস্ততার মধ্যে শ্রমিকরা।

বকশীগঞ্জের পৌর শহরের পাখিমারা এলাকায় গড়ে উঠেছে দেশীয় তাঁতের জামদানি শাড়ির তাঁতশিল্প। প্রায় শতাধিক তাঁত মালিকের এক সহস্রাধিক মানুষ এই শিল্পের সাথে জড়িত। কেউ বুনছেন বাহারি রঙের শাড়ি, কেউ শাড়ির গায়ে তুলছেন বাহারি নকশা, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন, নজরকাড়া কারুকাজ, নতুনত্বের ছোঁয়ায় তৈরি করার কারণে দেশীয় তৈরি জামদানি শাড়ির প্রতি নারীদের রয়েছে বিশেষ আর্কষণ।

কাপড়ের ডিজাইন ও সুতার পার্থক্যভেদে প্রতিটি জামদানি শাড়ি দশ হাজার টাকা থেকে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তাঁতপল্লীর মালিকেরা।

এছাড়া এ বছর বেনারশি, সিল্ক, জামদানিসহ বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ির চাহিদা বেশি রয়েছে বলেও জানান তারা। তাই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাত-দিন। চাহিদা বাড়ায় বাড়তি লাভের আশা করছেন তাঁত মালিকরাও।

দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বকশীগঞ্জের তাঁতের শাড়ি। এরই মধ্যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খরিদদারদের পাশাপাশি খুচরা ক্রেতারাও শাড়ি কিনতে ভিড় করছেন পাখিমারা তাঁতপল্লীতে।

তাঁত শ্রমিক মনু মিয়া, মাসুমা আক্তার ও হারুন, রশিদ মিয়া জানান, বাড়তি আয়ের আশায় আমরা ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত এক করে কাজ করছি। যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু আনন্দে ঈদ করতে পারি এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

তাঁত মালিক সনজু হোসেন জানান, দামি একটি শাড়ি তৈরি করতে নক্শানুযায়ী প্রায় সাত থেকে ১০ দিন সময় লাগে। এছাড়া উচ্চমূল্যে সুতা ও শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শাড়ির দাম বেশি পড়ে। যার কারণে সৌখিন ক্রেতারাই এই শাড়ি ক্রয় করে থাকেন বেশির ভাগ। তবে অন্যবারের তুলনায় এ বছর শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে স্বর্ণা জামদানি মালিক হাসান সবুজ জানান, এবার জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় আমরা জোগান দিতে পারছি না।

সিলেট থেকে জামদানি শাড়ি কিনতে আসা মনিরা বেগম জানান, আমি সদূর সিলেট থেকে এসেছি একটি শাড়ি কিনার জন্য। এখানকার শাড়িগুলোর ডিজাইন ও হাতের কারুকাজ অতুলনীয়। এ কথায় যার কোন তুলনা হয় না। এজন্যই এখানে আসা।

(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :