‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার বিকল্প নেই’
‘আমাদের দৃষ্টিতে একটি শ্রেষ্ঠ স্কুল কেমন হওয়া উচিত’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে বিজিবি পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের চার দিনব্যাপী সম্মেলন সোমবার পিলখানায় শুরু হয়েছে। সকাল নয়টায় বিজিবি সদরদপ্তরের ক্যাপ্টেন শহীদ আশরাফ হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন।
সম্মেলনে পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজসহ ঢাকার বাইরে বিজিবির বিভিন্ন ইউনিটে অবস্থিত বিজিবি পরিচালিত ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পিলখানার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মানবসম্পদ শ্রেষ্ঠ সম্পদ। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সে শিক্ষা হতে হবে মানবিক, নৈতিক, যুগোপযোগী এবং তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষা। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার আজ বিশ্বমানে পৌঁছে গেছে। বিজিবি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার প্রত্যাশিত মানোন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’
বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বিজিবিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিজিবির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মতামত এবং দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদদের মূল্যবান পরামর্শ আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের বিশেষ দৃষ্টি ও পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।’
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মানবসম্পদ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা সর্বাগ্র। তাই শিক্ষকদের হতে হবে সুশিক্ষিত, নৈতিকতাসম্পন্ন, শিক্ষার্থীবান্ধব ও দেশপ্রেমী। চার দিনের এই সম্মেলনে মতবিনিময়ের মাধ্যমে আপনারা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তা কাজে লাগিয়ে ভালো মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে আমরা কাজ করবো। বিজিবি সদস্যদের সন্তান তথা আগামী প্রজন্মকে আমরা প্রকৃত ও গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই।’
সম্মেলনের শুরুতে এর উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিজিবি গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন।
আগামী ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সম্মেলনের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের উপস্থিতিতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিজিবির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষাবিদদের মতামত ও পরামর্শের সারমর্ম ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এএ/জেবি)