ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যায় সড়ক ও সেতুর ক্ষতি ৩৬ কোটি টাকা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৪৫

বন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের কাঁচা-পাকা সড়ক, সেতু ও কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র হিসাব অনুযায়ী, এ ক্ষতির পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা। আর এ কারণে ওইসব সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ১১ আগস্ট বন্যায় আক্রান্ত হয় ঠাকুরগাঁও জেলা। ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর উপজেলার ৪৬টি ইউনিয়নের সহস্রাধিক গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে যায়। পানির তোড়ে ভেঙে যায় সেতু সংযোগকারী সড়ক ও কালভার্ট। ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা হতে রাজাগাঁও ইউনিয়নের পাটিয়াডাঙ্গী বাজারগামী সড়কের টাঙ্গন নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের পূর্বধারে সংযোগসড়ক ভেঙে যায়। এতে ওই সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

অপরদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ও বড় পলাশবাড়ি গ্রামের যাতাযাতের একমাত্র রাস্তায় রুপগঞ্জ নামক এলাকায় তীরনই নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তার পাড় ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। এতে দুই ইউনিয়নের লোকজন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা শহর হতে।

এলজিইডি ঠাকুরগাঁও অফিস সূত্র জানায়, এলজিইডির আওতায় এক হাজার ৫২ কিলোমিটার পাকা রাস্তার মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫, রাণীশংকৈলে ৪, পীরগঞ্জে ১০, হরিপুরে ৯ ও বালিয়াডাঙ্গীতে ১৮ কিলোমিটার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে তিন হাজার ৭০০ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬১, রাণীশংকৈলে ৩১, পীরগঞ্জে ৪১, হরিপুরে ৩৭ ও বালিয়াডাঙ্গীতে ৫০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া ছয় হাজার ২৮৯টি সেতু ও কালভার্টের মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়টি সেতু ও ২৩টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাণীশংকৈলে ক্ষতির শিকার হয়েছে দুটি সেতু ও সাতটি কালভার্ট। পীরগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও কালভার্টের সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচটি ও ১৯টি। এছাড়া হরিপুরে পাঁচটি সেতু ও ১৬টি কালভার্ট এবং বালিয়াডাঙ্গীতে চারটি সেতু ও ২১টি কালভার্ট বন্যার কারণে ভেঙে পড়েছে।

রাজাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার ঢাকাটাইমস জানান, তার ইউনিয়নের পাটিয়াডাঙ্গীগামী সড়কের টাঙ্গন নদীর উপর ব্রিজের সংযোগ সড়কসহ সেতু ও কালভার্টে ক্ষতির কারণে যোযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এতে কৃষিপণ্য পরিবহনে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মণ ঢাকাটাইমসকে জানান, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্টের পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-সেতু চলাচলের উপযোগী হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :