কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়, ট্রেনের সময় বিপর্যয়ে ভোগান্তি

এম গোলাম মোস্তফা, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৫:৫৮

স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আগেই অনেকটা যুদ্ধ করে অগ্রিম টিকিট নিয়েছিলেন নগরবাসী। এবার তারা নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছেন। ঈদযাত্রার চতুর্থদিনে বুধবার কমলাপুরে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তবে আজও কিছু ট্রেনের সময় বিপর্যয় হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

একদিকে বন্যা অন্যদিকে অতিবর্ষণে সড়কে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য সম্ভাব্য যানজট এড়াতে এবার ট্রেনযাত্রার দিকে ঝুঁকেছে বেশি মানুষ। ট্রেনগুলো কমলাপুর থেকেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে রওয়ানা করছে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটির কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার কথা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি দুই ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে গেছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ট্রেনও নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে স্টেশন ছেড়ে যায়।

ঈদযাত্রার অন্যান্য ভোগান্তির সঙ্গে ট্রেনের এই বিলম্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসে যাত্রী শামীম আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট কাটতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়, আবার ট্রেনগুলো সঠিক সময়ে ছাড়ছেও না। এতে মানুষের ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। সড়কে যানজটের ভোগান্তি অন্যদিকে ট্রেনেও দেখেন সময় মতো ছাড়ছে না, মানুষ যাবে কোথায়।’

দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী মুসলিম মিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এমনিতেই ট্রেন লেট, এর উপরে ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী, পরিবার সদস্যদের নিয়ে সিট পর্যন্ত পৌঁছানোই মুশকিল।’

ঢাকা কলেজের ছাত্র ইলিয়াস আহমেদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সড়কপথে যানজটের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছি। ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড়, অন্যদিকে প্রায় ট্রেন লেট করে ছেড়ে যাচ্ছে। আমাদের ট্রেন কখন ছাড়ে কে জানে। ট্রেনে এতো ভিড়ের কারণে নারীদের খুব সমস্যা তবুও নানা ভোগান্তি সত্ত্বেও প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটে সবাই।’

ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট অনুযায়ী আজ চতুর্থ দিনের মতো রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ। গত ২১ আগস্ট দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তারাই আজ ট্রেনে রাজধানী ছাড়ছেন। তবে টিটিকের বাইরেও প্রচুর যাত্রী ট্রেনে উঠছেন। ভেতরে দাঁড়িয়ে অথবা ছাদে চড়েই তাদের গন্তব্যে ফিরতে হচ্ছে।

স্টেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যেতে বিলম্ব হয়েছে সে ট্রেনগুলো স্টেশনেই দেরিতে এসে পৌঁছেছে। সাময়িক এই বিলম্বের জন্য যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। তবে ট্রেনযাত্রায় যাত্রীদের যেন কোনো সমস্যা না হয় পাশাপাশি নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তারা।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী ঢাকাটাইমসকে বলেন, কমলাপুরে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, ঈদ এগিয়ে আসার কারণে এই ভিড় বাড়ছে। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ছাড়াও রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের সম্পদ সীমিত এরমধ্যেই যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্টরা। দুই একটা ট্রেন কিছুটা বিলম্বে ছেড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সিডিউল ঠিক রেখে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে।

এবার ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন সারাদেশে প্রায় দুই লাখ ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেলওয়ে। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর এবং ঈদের পরে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/জিএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :