দৌলতদিয়া ঘাটে পশুবাহী ট্রাকের দীর্ঘ লাইন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৯:২৭

টানা ছয়দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়ায় গাড়ির চাপ কমে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি স্বল্পতা ও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গত একমাস ধরে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছিল।

তবে বুধ, বৃহষ্পতি ও শুক্রবার এবং ঈদের পরের তিন দিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কোন প্রকার পন্যবাহী ট্রাক পার করা হবে না।

বুধবার দক্ষিণাঞ্চল থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক দৌলতদিয়ায় ঘাটে না আসায় বুধবার বিকাল থেকে ঘাটে ট্রাকের চাপ কমে গেছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে গাড়ি কম থাকায় যানজটের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

নতুন করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা বাড়িয়ে ১৭টি করা হয়েছে, তবুও দৌলতদিয়া ঘাটে এখনও নদী পারের অপেক্ষায় কোরবানির পশুবাহী ট্রাকসহ তিন শতাধিক যানবাহন দীর্ঘ দুই সারিতে আটকে রয়েছে।

এদিকে কোরবানির গরুবাহী ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করায় ঘাট এলাকায় মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে সহস্রাধিক যাত্রীবাহী বাস। আর এ সুযোগে দৌলতিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী গরুবোঝাই ট্রাকগুলো থেকে কৌশলে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। ফেরিতে নদী পার হওয়ার জন্য ১৪শ’ ৬০ টাকার টিকিট ২৪শ’ টাকা দিয়ে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন ট্রাক চালকরা। কাউন্টার থেকে নয়, বরং বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে এসব টিকিট। এছাড়াও ফেরি পার হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় লাইনে আটকে থাকতে হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকা দৌলতিয়া ঘাটের ট্রাক চালকদের।

এ সংকট নিরসনে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান কোরবানির গরুবাহী ট্রাক চালকরা।

বুধবার মাগুড়া থেকে ছেড়ে আসা এক ট্রাক ড্রাইভার জানান, গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ঘাটে অপেক্ষা করছেন তিনি। গরুর অবস্থাও ভালো না। তার মধ্যে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে ঘাটের টিকিট পাওয়ার জন্য।

তবে ফেরি পারাপারের টিকিট নিয়ে চালকদের অভিযোগের ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, এরকম কোনও বিষয় তাদের জানা নেই।

দৌলতদিয়া ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পরিদর্শক মৃদুল রঞ্জন জানান, ঘাটে কোনও প্রকার চাঁদাবাজি বা টিকিটের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে না। দালালদের প্রভাব কমাতে পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। বরং কোরবানির পশুবোঝাই ট্রাকগুলোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে সিরিয়াল দেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, গত ঈদে আমরা ১৯টি ফেরি চালনা করেছি। এখন ১৭টির মত ফেরি আছে। যদি ফেরি বেশি থাকত তাহলে লম্বা লাইন সৃষ্টি হতো না। তাছাড়া এখন ভরা বর্ষায় পদ্মা যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের টানে ফেরি পারাপারে সময় অনেক বেশি লাগছে। ফলে ট্রিপ কমে গিয়ে সবসময়ই ঘাটে যানজট লেগেই থাকে।

দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসি ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান,পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলছে ধীর গতিতে। এ কারণে কিছুটা জট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট কমাতে ঈদের আগের ও পরের তিন দিন অপচনশীল মালামাল বহনকারী ট্রাক ফেরিতে পারাপার করা বন্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গ, চলতি বর্ষায় পদ্মার তীব্র স্রোত ও ফেরি স্বল্পতার কারণে গত এক মাস ধরেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। নদী পার হতে বেশি সময় লাগছে। একারণে বেশ কিছুদিন থেকেই দৌলতিয়া ঘাটে বেড়েছে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন।

এ নৌরুটের ফেরি বহরে রোরো (বড়) ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যোগ দিয়েছে এবং কোন পন্যবাহী ট্রাক পার করা হবে না। এতে যানজট পরিস্থিতি বুধবার সকালের থেকে অনেকটা কমে গেছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :