অনুমতি মিললেই রুপা ফিরবে স্বজনদের কাছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩৭

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নিহত রুপা খাতুন এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।

বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়ার ৪দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হয় মধুপুর থানা পুলিশের নিকট। পরে থানা পুলিশ আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করে। আদালতের অনুমতি মিললেই কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হবে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

গণধর্ষণের শিকার তরুণীর লাশ উত্তোলনের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষে তার বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিক লাশ বুঝে নিবেন। পরে তা সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুণী রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ। পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।

শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায় ধারণা করে শনিবার হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানা পুলিশ। এরপর থেকে অপরাধীদের শনাক্ত করার জোর চেষ্টা চালায় তারা।

তরুণীর বড় ভাই গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে সোমবার রাতে মধুপুর থানায় উপস্থিত হয়ে লাশের ছবি দেখে পরিচয় শনাক্ত করে। পরবর্তীতের পরিবারের সদস্যদের দেয়া তথ্যর উপর নির্ভর করে জোড়ালো অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

নিহত তরুণী বড় ভাই সাবেক সংবাদকর্মী হাফিজুর প্রামাণিক জানান, তার ছোট বোন রুপা খাতুন অনার্স শেষ করে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজে এলএলবি বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিল। পাশাপাশি সে শেরপুর জেলায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রোমশনাল ডিভিশনে কর্মরত ছিল। গত শুক্রবার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে সে বগুড়া যায়। পরে পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহগামী ছোয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) একটি বাসে তার এক সহকর্মীর সাথে যাত্রা করে। তার সেই সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় সে এলেঙ্গাতে নেমে যায় এবং রুপা ওই বাসেই ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। কিন্তু সে সঠিক সময়ে ময়মনসিংহ না পৌঁছায় তার সহকর্মীরা মোবাইলে ফোন করলে এক যুবক ফোনটি রিসিভ করে এবং রুপা ভুল করে ফোনটি ফেলে রেখে গেছে বলে জানিয়ে কেটে দেয়। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ রয়েছে।

শনিবার সকালে কর্মস্থলে না পৌঁছায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর শেরপুর অফিস থেকে রুপার বড় ভাই হাফিজুর প্রামাণিক এর মোবাইলে রুপা কর্মস্থলে না ফেরার বিষয়টি অবগত করে তারা। পরবর্তীতে রুপার মোবাইলে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বড় ভাই ময়মনসিংহ কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। সোমবার গণমাধ্যমের খবর পড়ে সে মধুপুর থানায় এসে রক্তা অবস্থায় পড়ে থাকা তরুণীর লাশের ছবি দেখে তার বোন বলে শনাক্ত করে। এসময় তিনি রুপার কর্মস্থল এর সহকর্মীদের দেয়া তথ্য থানা পুলিশকে অবগত করে।

এদিকে লাশের পরিচয় না মেলায় শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/আরকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :