টাঙ্গাইলে খালুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আপন খালুর বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে খালু শামীম আহমেদ সামেশ মিয়াকে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি মামলা করেছে ভিকটিমের পরিবার।
পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলা বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার দেওবাড়ী গ্রামের শামীম আহমেদ সামেশ স্কুলে যাওয়ার-আসার পথে তার শ্যালিকার মেয়েকে টাকা ও বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর কয়েকদিন পর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বনের ভেতরে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর গত ৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে। পরে ওই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মা-বাবার কাছে জানায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, শামীম এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিচার দাবি করছি।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার আপন বোনের জামাই আমার মেয়ের সর্বনাশ করতে পারে আমি তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমি ওই পাষণ্ডের বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত শামীমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার স্ত্রী ফোন ধরে বলেন, ‘ঘটনা সত্য হলে আমি আমার স্বামীর কঠিন বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকছুদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সৎ বাবার ধর্ষণের শিকার হয়ে নয় মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে ১৬ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি জেলার ঘাটাইল উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার ফুলমালিরচালা গ্রামের। আগস্টের ৮ তারিখে এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এনিয়ে টাঙ্গাইলে গত দেড় মাসে আটটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/জেডএ)