শেষ হাটেও ক্রেতা সংকট, দুশ্চিন্তায় ব্যাপারিরা
ঈদের আমেজে যখন দেশ ভাসছে, তখন কারো চোখে কষ্টের জল। পোষা গরুটি চাহিদা অনুপাত দাম না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে অনেক গরু মালিক। ক্রেতা না থাকায় কপাল চাপড়াচ্ছেন অনেক ব্যাপারি। ঈদের আগে আজই শেষ হাট। কিন্তু বাজারে ক্রেতা সংকট।
রাজধানীর বৃহত্তম কোরবানির হাট গাবতলী। ক্রেতা সংকট এখন এই হাটে। নেই বড় গরু কেনার ক্রেতা। ক্রেতা হিসেবে শেষ মুহূর্তে যারাই ঝুঁকছেন সবারই চাহিদা ছোট গরু।
স্থানীয় হাটে দাম না পাওয়ায় বুধবার রাতে গাবতলী হাটে এসেছেন আমানউল্লাহ। কুষ্টিয়া থেকে আটটি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। সাতটি বিক্রি করলেও একটি গরু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। গরুটির নাম লাল পাহাড়। বিশাল পাহাড় আকৃতির লাল পাহাড়ের দাম প্রথমে চাওয়া হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। ক্রেতা সংকটে মুখে দাম এসে থেমেছে ১২ লাখ টাকায়। তবুও কপাল চাপড়াচ্ছেন গরু মালিক আমানউল্লাহ। সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল আট লাখ টাকা। কিন্তু বিক্রি করেননি।
আপেক্ষ ও হতাশা নিয়ে আমানউল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সব দোষ রাজাগো। দ্যাশের রাজা যদি আমগো না দ্যাহে আমরা কোই যামু? ইন্ডিয়ান গরু আইনা ভইরা দিছে। কেউ দাম কয় না। বড় গরুর দিকে কেউ দ্যাহে না। কেউ দামও কয় না। কাইল একজন আট লাখ কইছিল। লস অইবো। কিন্তু এত লস পোষামু ক্যামনে!’
অনেক গরু ব্যাপারির কণ্ঠে একই সুর। তিন লাখ টাকার উপরের গরুর প্রতি ক্রেতা চাহিদা প্রায় শূন্যের কোঠায়। মূল হাটে ক্রেতার দেখা নেই। কিছু ক্রেতা দেখা গেছে বেড়িবাঁধে। কিন্তু চাহিদা অনুপাতে দাম বলছেন না ক্রেতারা।
ইতিমধ্যে দুশ্চিন্তা বাসা বেঁধেছে ব্যাপারিদের মনে। গত কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছেন এখানে। এখন যদি গরু ফিরিয়ে নিতে হয়, তাহলে ঝামেলা পোহাতে হবে আরও বেশি। তাই কম দাম হলেও বিক্রি করছেন অনেকে।
জুমার নামাজের পর কিছু ক্রেতা হতে পারে এমন আশায় বুক বেঁধেছেন অনেক বিক্রেতা। কিন্তু সকাল থেকেই প্রচুর পরিমাণ গরু আসতে শুরু করেছে গাবতলী হাটে। এমন অবস্থা চললে প্রচুর লস গুণতে হবে ব্যাপারিদের।
মেহেদি হাসান পলাশ নামের এক ব্যাপারি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দাম খুব কম যাইতাছে। খুব বিপদে আছি ভাই! কী করমু বুজতাছি না। সবই তার হাতে। চারডা গরু লসে বেচছি। এই গুলাও যদি লসে বেচি, মইরা যামু ভাই।’
(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/কারই/কেএস/জেবি)