ঈদের দিনেও মন খারাপ সুলতান মিয়ার!

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৩

ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত নগরবাসী। অনেকে ফাঁকা রাস্তায় মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সর্বত্র খুশির আমেজ। কিন্তু সেই আনন্দ একটুও ছুঁয়ে যায়নি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সুলতান মিয়াকে।

পেটের টানে গত দশ বছর ধরে ঢাকায় রিকশা চালান সুলতান। দিনভর রিকশার প্যাডেল মারলেও এতবছরে ভাগ্যের তেমন পরিবর্তন ঘটাতে পারেন এই মানুষটি। তাইতো ঈদের দিনেও যখন রাস্তায় রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন কম তখনো যাত্রীর আশায় অপেক্ষায় সুলতান মিয়া।

অন্যান্য দিন ইস্কাটনের অফিসে আসতে পরিবাগের ওভারব্রিজের সামনে কম হলেও ১০ থেকে১৫টি রিকশা থাকে। কিন্তু ঈদের দিন দেখা গেল একটা রিকশা নিয়ে একজন বসে আছেন। কাছে আসতেই দেখা গেল কেমন যেন মন খারাপ চালকের।

যাবেন- বলতেই বললেন, ‘মামা চলেন। খ্যাপ নাই।’ রিকশার হুট ফেলে দিয়ে বললেন, ‘মাংস নিয়ে আসছিলে একজন কিছুক্ষণ আগে। লোকজন নাই, অনেকক্ষণ পর আপনারে পাইলাম।’

চলতে চলতে রিকশাচালকের ব্যক্তিগত পরিচয় জেনে নিলাম। বললাম, মন খারাপ আপনার? দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, না মামা ঠিক আছি তো..। নাম বললেন, সুলতান মিয়া, বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। বাড়িতে মা-বাবা এবং স্ত্রী ও এক ছেলে আছে।

সব ঈদেই কি ঢাকায় থাকেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামা রোজার ঈদে যাই। এই ঈদে যাইয়া তো লাভ নাই। কোরবানি তো দেই না। বোঝেন না।’

অনেকেই তো আজকে রিকশা নিয়ে নামেনি- আপনিও বিশ্রাম নিতে পারতেন না? বললেন, ‘সেই কপাল কি আছে, না নামলে কী খামু মামা। বাড়িতে মা-বাবা আছে, বউ-পোলাপাইন আছে তা গো তো টাকা পাঠাইতে হয়।’

গন্তব্যে পৌঁছে ভাড়া মিটিয়ে একটা ছবি তোলার আবদার করলে সুলতান মিয়া প্রথমে কিছুটা সংকোচ করলেও পরে নিজে থেকেই বললেন, ‘মামা তোলেন সমস্যা নেই!’

(ঢাকাটাইমস/০২সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :