‘সরাসরি চামড়া কেনা ট্যানারির অনৈতিক কাজ’
ট্যানারি মালিকরা আড়তদারদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করে এবার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচা চামড়া কিনে অনৈতিক কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান। আজ সোমবার লালবাগের পোস্তায় চামড়া বাজারে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে আজ দুপুরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যন শাহীন আহমেদ সংগঠনটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ট্যানারি মালিকরা সরাসরি ৫ শতাংশ চামড়া কিনে থাকতে পারেন।
বিটিএর এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে টিপু সুলতান দাবি করেন, এবার ট্যানারি মালিকরা ৫ শতাংশ নয় ৫০ শতাংশ কাঁচা চামড়া সরাসরি কিনেছেন। তারা রাজধানীর সাইন্সল্যাবে রীতিমতো কাঁচা চামড়ার বাজার বসিয়েছিল ঈদের প্রথম দিন।
ট্যানারিগুলো সরাসরি কাঁচা চামড়া কিনতে পারবে না এমন কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা আছে কি না জানতে চাইলে টিপু সুলতান বলেন, এমন কোনো বিধিনিষেধ নেই আইনে। কিন্তু এটা নৈতিকতার বিষয়।
টিপু সুলতান অভিযোগ করেন, ‘আমরা ট্যানারি মালিকদের কাছে শত শত কোটি টাকা পাব। সেই টাকা তারা পরিশোধ না করে উল্টো মোসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচা চামড়া কিনছে। এটা তারা অনৈতিক কাজ করেছে।’
সাধারণত কোরবানি ঈদের সময় ট্যানারি মালিকরা পাওনার ৮০ শতাংশ পরিশোধ করেন বলে জানান টিপু সুলতান। সেই টাকায় তারা চামড়া কিনে ট্যানারিগুলোকে দেন। তিনি বলেন, ‘এবার তারা আমাদের পাওনা পরিশোধ করেছে মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আবার আমাদের বকেয়া টাকা দিয়ে সরাসরি চামড়া কিনছে।’
জানা যায়, পোস্তার ব্যবসায়ীরা সারা বছর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন। আর তা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে ট্যানারিগুলোতে সরবরাহ করা হয়। তার মধ্যে কোরবানির ঈদের সময় বছরের মোট চামড়ার অর্ধেক সংগ্রহ হয়। তাই এ সময় তারা অতিরিক্ত গুদাম ভাড়া করেন। বেশি করে লবণ কিনে রাখেন। নিয়োগ করেন অতিরিক্ত শ্রমিক।
টিপু সুলতান বলেন, এবার তাদের এই অতিরিক্ত খরচ লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পোস্তায় চামড়া না আসায় আমরা বিপাকে পড়েছি। আমাদের গুদাম খালি থাকছে। লবণ আর কাজে লাগছে না, এগুলো কমদামে বিক্রি করতে হবে। তাহলে আমরা টিকে থাকব কীভাবে!’
ট্যানারি মালিকদের ‘অনৈতিক’ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে টিপু সুলতান বলেন, ‘যার যার ব্যবসা তার তার করা উচিত।’ এর জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন চামড়া আড়তদারদের এই নেতা।
(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/জেআর/মোআ)