বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শাহাদতবার্ষিকীতে নানা আয়োজন

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:২০

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাতবরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ।

যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

নূর মোহাম্মদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) নূর মোহাম্মদ নগরে সকালে শোক র‌্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম, কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নড়াইল জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়া বিজিবির পক্ষ থেকে বীরশ্রেষ্ঠের কবরস্থান যশোরের শার্শায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। তার স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা, ছেলে গোলাম মোস্তফা কামাল ও তিন মেয়ে নড়াইলসহ যশোরে বসবাস করেন। মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়। ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভূক্ত (মান্থলি পে অর্ডার) হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনো এমপিওভূক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মজিদ সরদার। এদিকে, কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও জাতীয়করণ চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

নূর মোহাম্মদের কর্মময় জীবন থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে ‘বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (বিজিবি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাহিনীতে দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তী সময়ে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এস এ মঞ্জুর। নূর মোহাম্মদ যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ শত্রুমুক্ত করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :