গাইবান্ধায় চামড়া নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
এ বছর চামড়ার চাহিদামত মূল্য না থাকায় বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার সাত উপজেলার ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতের পর স্বল্পমূল্যে তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। লবণের দাম বেশি থাকায় ও ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেয়া চামড়ার দাম কম থাকায় এ বছর তারা ঘাটতি মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের দিন থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত শহর ও গ্রাম ভেদে গরুর চামড়া ৬শ থেকে ১২শ টাকা, খাসির চামড়া ১শ থেকে টাকা থেকে ২শ টাকা মূল্যে কিনেছেন খুচরা পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। এখন এসব পাইকার ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার জানান, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে তিনি ৪৫০টি গরু ও ১২০টি খাসির চামড়া কিনেছি। প্রতি গরুর চামড়া ৮শ থেকে ১২শ টাকায় কিনেছি। এছাড়া খাসির চামড়া ১শ থেকে ৩শ টাকায় কেনা পড়েছে। এসব চামড়া ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা দেখেছেন। তারা যে দর হাঁকছেন, সে দরে চামড়া বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে। তবে ওই মূল্যেই অনেকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি জানান, বুধবার সকাল থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর চামড়ার হাট বসবে। প্রতি বছর ঈদুল আজহার পরের বুধবার রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ঘেঁষে এ হাট বসে। এখানে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলা ছাড়াও জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা আসেন। এই হাটের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
পলাশবাড়ী চামড়া হাটের সাধারণ সম্পাদক মিনু মন্ডল জানান, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতের জন্য লবণ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু লবণ নিয়ে করা হয় সিন্ডিকেট। কোরবানির ঈদে জেলা থেকে অনন্ত ৫ কোটি টাকার চামড়া ক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও জানান, এবার কি পরিমাণ চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হবে- তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে সময় থাকতে চামড়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ দিতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। তা নাহলে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পথে বসতে হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/৫সেপ্টেম্বর/এলএ)