টাঙ্গাইলে দেড় মাসে আলোচিত আট ধর্ষণ

রেজাউল করিম, টাঙ্গাইল
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:২৪ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:২১
চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার তরুণী

টাঙ্গাইলে গত দেড় মাসে আটটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সৎ বাবার যৌন লালসা থেকে রেহাই পায়নি তার মেয়ে। আপন খালুও নিজ ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে পরিচয় দিয়েছেন পশুত্বের। রেহাই পায়নি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া শিশুটিও।

সবশেষে আলোচনায় এসেছে জেলার মধুপুর বনাঞ্চলে চলন্ত বাসে আইন বিভাগে পড়–য়া ছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে ঘাড় মটকে হত্যার ঘটনা।

ছয় মাস বনের ভেতর নির্জন ঘরে আটকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলে। যদিও প্রত্যিকটি ঘটনায় থানায় মামলা চলমান। তবুও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি এখনো।

চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা

গত ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করা হয় আইন বিভাগে পড়–য়া এক ছাত্রীকে। ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের মধুপুর উপজেলাস্থ পঁচিশ মাইল এলাকার সুমী নার্সারির নিকট রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে তরুণীটি মরদেহ দাফন করা হয় জেলার কেন্দ্রীয় গোরস্তানে। পরদিন গণমাধ্যমে সংবাদের সাথে ছবি প্রকাশ পাওয়ায় পরিচয় পাওয়া গেল তরুণিটির। নিহত রুপা ছিলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াস উপজেলার আমানবাড়ি গ্রামের জেলহক প্রামাণিকের মেয়ে। নিহত জাকিয়া সুলতানা রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেই বাসটি ছোঁয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) চালক, হেলপার ও সপারভাইজারসহ পাঁচজনকে পুলিশ আটক করে। পরে আদালতে পাঁচজনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে জানা যায়, এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পরিচালিত ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) বাসে ওঠেন ওই তরুণী। ওই তরুণী ছাড়াও বাসে আরও পাঁচ-ছয়জন যাত্রী ছিলেন। বাসে থাকা অন্য সব যাত্রী সিরাজগঞ্জ মোড়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত ও এলেঙ্গায় নেমে যান। তরুণীর সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনিও টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় নেমে যান। পরে একা পেয়ে বাস চালকের সহকারী শামীম তরুণীকে জোর করে পেছনের আসনে নিয়ে যান। এ সময় তরুণীটি তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও মুঠোফোন শামীমকে দিয়ে তাকে নির্যাতন না করতে হাতজোড় করে অনুরোধ করেন। কিন্তু শামীম কোনো কথাই শোনেননি। পরে শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতা তরুণী কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করায় তারা তিনজন তার মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ঘাড় মটকে তাকে হত্যাও করে তারা। পরে মধুপুর উপজেলা সদর অতিক্রম করে বন এলাকায় রাস্তার পাশে ওই তরুণীর মরদেহটি ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

রূপা বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে এলএলবি শেষ বর্ষে অধ্যায়ন ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশও নিয়েছিলেন।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন চাঞ্চল্যকর মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

নির্জন ঘরে ছয় মাস আটকে রেখে ধর্ষণ

অপরদিকে আরেকটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে জেলার সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর কাশেম বাজার এলাকায়। ওই এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নির্জন ঘরে এক কিশোরীকে ছয় মাস ১৭ দিন আটকে রেখে নিয়মিত ধর্ষণ করেন দূরসম্পর্কীয় চাচা। কিশোরীর মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সৎ মায়ের কাছে বড় হয়েছেন কিশোরী। ওই কিশোরীর সঙ্গে একটি ছেলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছেলেটিকে বিয়ে করতে ওই কিশোরী সহযোগিতা চান এলাকার দূরসম্পর্কের চাচা বাদল মিয়ার কাছে। চলতি বছরের (১১ জানুয়ারি) বাদল মিয়া বিয়ের কথা বলে এলাকার নির্জন স্থানে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই কিশোরীকে আসতে বলেন। পরে তাকে সেখানে আটকে রেখে প্রায় সাত মাস ধরে নির্যাতন চালান।

গত (২৯ জুলাই) কিশোরীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে (৩১ জুলাই) বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে মির্জাপুর বাজার থেকে শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বাদল মিয়া শনিবার (৫ আগস্ট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বাদল মিয়া (৩৫) ওই কিশোরীকে ছয় মাস ১৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।

শিশুটিও রেহাই পায়নি লম্পটের কাছ থেকে

লম্পটের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুটিও। ৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়–য়া মেধাবী ছাত্রীকে সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একা পেয়ে সোহেল রানা(৩৭) নামে এক লম্পট মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে।মেয়েটির কান্না-কাটিতে আশপাশের লোকজন এসে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং ধর্ষক সোহেল রানাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার ধর্ষক সোহেল রানা একই উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের গাড়াখালী গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। প্রতিবাদে সহপাঠী শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে। ধর্ষণের ঘটনায় ধনবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে ধর্ষক সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন বলে স্বীকার করেন ধনবাড়ি থানা পুলিশ।

বাবার যৌন লালসার শিকার সৎ মেয়ে

বাবার যৌন লালসার শিকার সৎ মেয়ে। জেলার ঘাটাইল উপজেলার মালিরচালা (বাগামারি পাড়া) গ্রামে সৎবাবার যৌন লালসার শিকার হয়ে মেয়েটি এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে সৎবাবা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, মেয়েটির বয়স যখন ৩-৪ বছর তখন মায়ের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। ফলে মায়ের সাথেই শিশু কন্যা চলে আসে নানার বাড়ি ঘাটাইলের সাগরদিঘী এলাকার ফুলমালীরচালা গ্রামে। ওই বাড়িতে লম্পট কামরুল ইসলামের যাতায়াতের এক পর্যায়ে মেয়েটির মায়ের বিয়ে হয় কামরুলের সঙ্গে। বিয়ের শর্ত থাকে মেয়েকেও ভরণপোষণ করবে। পরে মেয়েটির মা জানতে পারেন তার স্বামী কামরুল ইসলাম এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন পর মেয়েটির ওপর লম্পট কামরুলের কুদৃষ্টি পরে। পরে মা তাকে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি তার মাকে দেখতে যায়। সে রাতে মা ঘুমিয়ে পড়লে মেয়েটিকে সৎবাবা কামরুল ইসলাম ধর্ষণ করেন। ২৪ জুলাই জানাজানি হলে আদালতে মামলা হয়।

স্কুলছাত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ

এদিকে ১ আগস্ট জেলার বাসাইল উপজেলার ডুমনী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে মানুষরুপি পশুরা। ৫ আগস্ট থানায় মামলা নেয় পুলিশ। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনায় ধর্ষকের সহযোগী সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের শাকিল ও মাসুদ নামে দুইজনকে আটক করা হলেও মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তাদের পুলিশ ছেড়ে দেয়।

ধর্ষিতার পরিবার জানায়, গত ১ আগস্ট সকালে স্কুলে যাওয়ার পর পাশের সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিকের নেতৃত্বে ২-৩ জন যুবক মেয়েটিকে প্রথমে বাসাইল হয়ে নলুয়ার পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন দেলদুয়ার উপজেলার পেরাকজানী গ্রামে মেয়েটির এক আত্মীয়র বাড়ির সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।

বাসাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম খান ধর্ষণ ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয় জেলার ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী । ১ আগস্ট বিকালে ওই ছাত্রি কোচিং করার জন্য ফসলান্দিস্থ ভাড়াবাসা থেকে বের হয়ে প্রভাতী কিন্ডার গার্টেনের কাছে পৌঁছলে ইমন ও হৃদয় নামের দুই যুবক তাকে জোরপূর্বক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। স্বজনরা সারারাত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরদিন বুধবার (২ আগস্ট) সকালে সুমাইয়ার মা বাদি হয়ে ইমন, তার মা আছমিনা সুলতানা ও বন্ধু হৃদয় মন্ডলকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ইমন ও হৃদয়কে আটক করে। পরে ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই সময় মামলার কথা নিশ্চিত করলেও ধর্ষণের বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।

আপন খালুও রেহাই দেননি ভাগ্নিকে

সখীপুরে আপন খালুর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী (১৪) ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার রাতে খালু শামীম আহমেদ সামেশ মিয়াকে (৩৫) একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে ওই স্কুল ছাত্রী।

পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে ওই ছাত্রীকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

মামলা ও ওই ছাত্রী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার দেওবাড়ী গ্রামের শামীম আহমেদ সামেশ (৩৫) স্কুলে যাওয়ার-আসার পথে তার শ্যালিকার মেয়েকে টাকা ও বিভিন্ন জিনিসের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এর কয়েকদিন পর বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নির্জন বনের ভেতরে নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলা হয়। এরপর গত ৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়। পরে ওই স্কুল ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মা-বাবার কাছে জানায়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত শামীম আহমেদ সামেশ তাতে সাড়া দেয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম অভিযোগের কথা স্বীকার করেন।

ভাতিজার লালসায় চাচি

এদিকে জেলার সখীপুর উপজেলায় চাচির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় ভাতিজা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত ১৪ জুলাই শুক্রবার রাতে সখীপুর উপজেলার বানিয়াছিট গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা চাচি বাদী হয়ে ভাতিজা খায়রুল ইসলামকে (২০) একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে, পুলিশ ধর্ষক খায়রুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, সখীপুর উপজেলার বানিয়ারছিট গ্রামের ধর্ষিত নারীর প্রায় ছয় বছর আগে ঘাটাইল উপজেলার শোলাকী পাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী মোশারফ হোসেন বিদেশ চলে যান। এরপর থেকে তিনি একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বেশির ভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় ভাসুরের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২০) চাচির বাড়ি বানিয়ারছিট বেড়াতে আসেন। রাতে চাচি ও ভাতিজা একই ঘরের পাশাপাশি খাটে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে ভাতিজা খায়রুল ইসলাম ওড়না দিয়ে চাচির মুখ বেঁধে জোর করে ধর্ষণ করেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, অভিযুক্ত খায়রুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

মাদক-ইয়াবা কারবারে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হটলাইন থেকে গ্রাহককে ফোন, অ্যাকাউন্টের টাকা হাওয়া

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৮, মামলা ৬

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার 

এটিএম বুথের প্রহরী হত্যা: টাকা লুটের উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত কারণ? কী বলছে পুলিশ?

রাজধানীতে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

কেএনএফকে সহযোগিতা, বান্দরবান থেকে একজন গ্রেপ্তার

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার সেই চিকিৎসকের মৃত্যু

রাষ্ট্রপতির আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা, নিঃস্ব বহু ট্রাভেল ব্যবসায়ী

অপহরণ-ধর্ষণ: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার, স্কুলছাত্রী উদ্ধার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :