কোরবানির ঈদের ছুটিতে গরুর মাংসের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৪২ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:১৫

বাংলাদেশের প্রায় ঘরে ঘরে এখন কোরবানির গরুর মাংস। রাজধানী ঢাকা শহর তার ব্যতিক্রম নয়। তাতে গরুর মাংসের দোকানে যে ক্রেতা কম হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে ভাববেন না ক্রেতার অভাবে বাজারে গরুর মাংসের দাম কম। বরং ক্রেতা নেই অজুহাতে কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিতে গ্রামের দিকে চলে গেছেন নগরবাসীর অনেকে। ফলে ব্যস্ত নগরী ঢাকা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। পাশাপাশি ঈদের তিন দিনের ছুটির সঙ্গে ঐচ্ছিক আরো ছুটি বাড়িয়ে অনেকেই এখনো গ্রামের দিকে রয়ে গেছেন। ফলে রাজধানীর এই ফাঁকা চিত্রের প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে।

বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে সবজি বিক্রেতাদের মলিন মুখে বসে থাকতে দেখা যায়। বাজারগুলো এখনো তেমন জমে ওঠেনি। অন্য সময়ের তুলনায় খুচরা কাঁচাবাজারিদের বেচাকেনা খুবই সামান্য। এর মধ্যেই অনেক বিক্রেতা কেজিপ্রতি দুই-পাঁচ টাকা বেশি দাম রাখছেন। আবার অনেকে পণ্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে কেনা দাম থেকে সামান্য লাভে ছেড়ে দিচ্ছেন বলে জানান কারওয়ান বাজারের তরকারি বিক্রেতা মোশাররফ হোসেন।

মোশাররফ বলেন, ‘ঈদের পরের দিন বসছিলাম, সেদিন তেমন কোনো কাস্টমার পাই নাই। অনেক তরকারি নষ্ট হইসে। কাঁচা মালে তো আর সিন্ডিকেট করা যায় না যে চাইল-ডাইলের মতো জমায় রাখমু। গতকাইল আর আইজকা কিছুডা কাস্টমার বাড়ছে। কিন্তু হেগো কাছে যে দাম চাই তার থেইকাও কমে, মানে, কাস্টমার বুইঝা কেনা দাম থেইকা সামান্য লাভে ছাইড়া দিতাছি।’

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘বাজারভেদে পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, পটল-করল্লা-কাকরোল-চিচিঙ্গা-লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। দাম স্বাভাবিক থাকলেও বাজারে শাকসবজিও তেমন একটা চোখে পড়ার মতো নেই। কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে। এদিকে মৌসুমের বাইরে উৎপাদিত গাজর, ছোট ও বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির সরবরাহ এখন কম।

কোরবানির ঈদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে মাংসের বাজারে। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা রাখা হ্চ্ছ। অথচ ঈদের আগে এই দর ছিল ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা করে। খাসির মাংসের কেজি ৭৫০ বা তার ওপরে।

কারওয়ান বাজারে গুরুর মাংসের একটি দোকান খোলা আছে। মাংস ব্যবসায়ী কালাম বলেন, ‘আমাগো মূল বেচা অইলো হোটেলে। হোটেল এহনো খোলে নাই। যারা কোরবানি দেয় নাই, মাঝে মাঝে তাদের দু-একজন কিনতে আসে।

ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ী বাবু বলেন, ‘গত ঈদে দাম বেশি থাকলেও মাইনসে কিনছে। কিন্তু এই ঈদে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতেও কেনার কেউ নাই। এহন যা বিক্রি অয় তা-ই লাভ।’

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/এএকে/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :