শেরপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৪

শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে মারামারির ঘটনায় মামলা করেছেন এক আ’লীগ নেতা। সদর থানায় মঙ্গলবার রাতে এ মামলার পর বুধবার এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকালে সদর উপজেলার বলাইচর ইউনিয়নের কুমরারচর আদর্শ গ্রামে স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর নির্দেশে ওই অনুষ্ঠানের সভাপতি স্থানীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামের জঙ্গলদি দশানি বাজার তিন রাস্তা মোড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং তাদের দোকানপাটে হামলা চালায়। এতে আ’লীগের আট নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হলে তাদের মধ্যে ছয়জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছামিদুল ইসলাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়াসহ ২৯ জনকে নামীয় করে আরো ৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দেননি দাবি করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগের সাথে কোন মারামারি হয়নি। আমাদের ঈদ পুনর্মিলনীর স্থান থেকে অনেক দূরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটাকে পুঁজি করে আমাদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

এ সম্পর্কে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় এমপি আতিউর রহমান আতিক বলেন, কুমরারচর আদর্শ গ্রামে বিএনপির লোকজন আলোচনা অনুষ্ঠানের নামে লটারি আর নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে- সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে। পরে স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করে। এ সময় বিএনপি কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ আটজন আহত হয়। বর্তমানে তারা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা হবেই অন্যায় করলে মামলাতো হবেই। মামলা করার বিষয়ে আমাকে কে দায়ী করল সেটা হিসাব করার মতো না। যারা অন্যায় করবে তারা আইনের আওতায় আসবে।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :