শাহ আলমের লাশ হিমঘরে, গ্রেপ্তার ৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হওয়া শাহ আলমের লাশ এখনো হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। লাশের সুরতহাল করতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে বুধবার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় লাশের সৎকার করা হয়নি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উদয়পুর তালবস্তি গ্রামের আফাজ উদ্দীনের একটি ছাগলের বাচ্চা একই গ্রামের খতিবর রহমানের ক্ষেতে পড়লে খতিবরের ছেলে ওই ছাগলটিকে আছাড় মারে। এ ঘটনায় উভয় পরিবারের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয় এবং উভয়পক্ষ বালিয়াডাঙ্গী থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। ওই মামলায় আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন উভয়পক্ষ। তবে আফাজের ছেলে শাহ আলম ঢাকায় থাকায় মামলায় জামিন নেয়নি।

এদিকে ঈদের ছুটিতে শাহ আলম ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে খতিবরের লোকজন তাকে শায়েস্তা করার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আফাজের ছেলে শাহ আলম বাড়ির পাশে স্কুলের হাটে বেড়াতে গেলে খতিবরের লোকজন তাকে হাটে আটক করে মারধর করে। এ ঘটনা আফাজের লোকজন জানতে পেরে তারাও পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পরিবারের চারজন আহত হয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

আগের দিনের ঘটনার জের ধরে পরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় খতিবরের লোকজন আফাজ উদ্দীনের পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যদের উপর হামলা চালায়। হামলায় আফাজ উদ্দীন, তার ছেলে শাহ আলম, ভাই ইকবাল, অপর ভাই শামসুল আহত হয়। আহত শাহ আলম ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা পৌনে ২টায় মারা যায়।

অপর আহত ইকবাল ও শামসুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আফাজ উদ্দীনের শ্যালক সাইফুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ইকবালের জ্ঞান ফেরেনি। হত্যার শিকার শাহ আলমের লাশ এখনো হাসপাতাল মর্গে পড়ে রয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুধবার সুরতহাল প্রস্তুত করতে সন্ধ্যা হওয়ায় সুয্যের আলোর অভাবে বুধবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি। তাই লাশ মর্গে রাখা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে।

বুধবার আফাজ উদ্দীন খতিবরসহ ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু হানিফ মণ্ডল গ্রেপ্তার নয়জনকে আদালতে সোপর্দ করেন।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, শাহ আলম হত্যায় এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :