বাগেরহাটে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আব্দুর রহিম মোল্লা নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে মোল্লাহাট উপজেলার গাওলা গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ রহিমকে গ্রেপ্তার করে। তবে অপর আসামি রহিম মোল্লার বন্ধু পালিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিকালে রহিম মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মেয়েটি স্থানীয় নাশুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
এর আগে বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী প্রতিবেশি আব্দুর রহিম মোল্লা ও তার এক বন্ধুকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় একটি মামলা করে।
আব্দুর রহিম মোল্লা ওই গ্রামের মহসিন মোল্লার ছেলে। রহিম মোল্লাহাট উপজেলার সদরের খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
মামলার নথির বরাত দিয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসম খায়রুল আনাম বলেন, গত ২৩ জুন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মেয়েটি একা বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। এসময় তার প্রতিবেশী রহিম ও তার এক বন্ধু মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার শোয়ার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে। তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং মুঠোফোনে সেই ভিডিওচিত্র ধারণ করে। তখন লোকলজ্জার ভয় এবং তাদের ওই ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে ধারণ করা ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে মেয়েটিকে ভয় দেখায় ওই দুই যুবক। যার কারণে মেয়েটি এতদিন চুপ ছিল। ২-৩ দিন আগে ওই দুই যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিওচিত্র দেখতে পেয়ে মেয়েটি মোল্লাহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছে। মামলার পর বুধবার রাতে গাওলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রহিমকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও তার অপর বন্ধু পালিয়ে গেছে। রহিম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার অপর আসামিকে গেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া রহিমের কাছ থেকে ওই ভিডিওচিত্রটি জব্দ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)