প্রশাসনে আবার বড় পদোন্নতি আসছে

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৩

শিগগিরই বড় পদোন্নতি আসছে। অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও উপসচিবÑ এ তিন স্তরের পদোন্নতির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার পদোন্নতির বিষয়ে প্রথম বৈঠকে বসেছে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য বিসিএসের ২৪তম ব্যাচ, যুগ্ম সচিব পদে ১৩তম ব্যাচ এবং অতিরিক্ত সচিব পদে ১০তম ও নবম ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে কাজ চলছে।

সূত্র জানায়, তিন পদে চার শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। এ জন্য কর্মকর্তাদের পরিচিতি, যোগদানের তারিখ, সিনিয়র স্কেলের তারিখ, বুনিয়াদি ও বিভাগীয় প্রশিক্ষণ, আইন ও বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণের তারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, এসিআরের নম্বর, এসিআরের বিরূপ মন্তব্য, শৃঙ্খলাসংক্রান্ত প্রতিবেদন, মামলা/শাস্তি ও দুর্নীতিসংক্রান্ত প্রতিবেদনের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে এসএসবি ধারাবাহিক বৈঠক করবে। চূড়ান্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে কতজনকে পদোন্নতি দেয়া হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, বর্তমানে উপসচিবের নিয়মিত (ডিউটি) ৮৬০টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন এক হাজার ৫৫২ জন। ওএসডি আছেন ১৩১ জন। তবে তিনটি মন্ত্রণালয়কে দুটি করে ভাগ করায় এগুলোতে আরো কয়েকটি নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে।

যুগ্ম সচিবের ২৫০টি স্থায়ী পদের বিপরীতে এ স্তরে কর্মকর্তা আছেন ৮১০ জন। তাদের মধ্যে ওএসডি ১২১ জন।

অতিরিক্ত সচিবের ১১১টি স্থায়ী পদের বিপরীতে আছেন ৪৭১ জন। এর মধ্যে ওএসডি ২৭ জন।

সূত্রমতে, উপসচিব পদে নতুন পদোন্নতির ক্ষেত্রে ২৪ ব্যাচের ফিট কর্মকর্তা আছেন ৩০০ জনের মতো। যুগ্ম সচিব আছেন প্রায় ২০০। অতিরিক্ত সচিব আছেন তাও ২০০-এর মতো। তবে কতজনকে পদোন্নতি দেয়া হবে সেটি সিদ্ধান্ত নেবে এসএসবি।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি একটি নিয়মিত কাজ। যোগ্যতা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, পদোন্নতির জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও তা পুরোপুরি মানা হয় না। দলীয়করণের উদাহরণ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, জেলা প্রশাসক হন সবচেয়ে যোগ্য কর্মকর্তারা। কিন্তু এখন এক সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক হলে আরেক সরকার তাদের পদোন্নতি দেয় না। এ জন্য মেধাবী ও যোগ্য কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক হতে চান না।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, মাত্রাতিরিক্ত পদোন্নতি হলে ওএসডির সুযোগ বাড়ে। এ জন্য শূন্যপদের বাইরে পদোন্নতি দেয়া উচিত নয়। পদোন্নতি হওয়া উচিত পদের ভিত্তিতে, যোগ্যতা ও মেধার মাপকাঠিতে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) শেখ ইউসুফ হারুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রশাসনে যারা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য, তারাই তা পাবেন। এবার কতজন পদোন্নতি পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বলতে পারবে।

জানুয়ারি ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ১১৫ জন কর্মকর্তাকে সরকারের সচিব, চার শতাধিক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব, প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব, ১ হাজার ৫৭২ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। নন-ক্যাডার সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে ২৫৯ জন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাকে।

বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ৭৬ জন কর্মকর্তাকে ১ম গ্রেড, দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় গ্রেড এবং তৃতীয় গ্রেডে ৫০০ শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি/ নিয়োগ/ সিলেকশন/ উচ্চতর স্কেল দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

প্রশাসন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :