লালমনিরহাটের সব আসনেই প্রায় নিশ্চিত প্রার্থী

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:০১

এস কে সাহেদ, লালমনিরহাট

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিনটি আসনে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ডজন খানেক মনোনয়নপ্রত্যাশী। সাবেক ও বর্তমান এমপি এবং দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতাদের পদচারণে এখন মুখরিত উত্তরের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটের তিনটি আসনের এলাকা।  

নির্বাচনের এখনো বছর খানেক বাকি থাকলেও নবীন-প্রবীণ মিলে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করছেন পুরোদমে। তাদের এ ঘন ঘন জনসংযোগ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে ভোটারদের মধ্যে।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় নেতাকর্মীর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সবচেয়ে আগ্রহের ব্যাপার আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করা-না করা নিয়ে। তবে বিএনপির অংশ নেয়ার সম্ভাবনা অনেকটা নিশ্চিত হওয়ার গুঞ্জনে দিন দিন নির্বাচনের মাঠ গরম হয়ে উঠছে।

একাদশ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দুই পৌরসভা ও পাঁচ উপজেলায় সম্মেলন করে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করেছে।

আগামী নির্বাচন সামনে রেখে লালমনিরহাটের তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম উঠে আসছে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের আলোচনায়।   

লালমনিরহাট-১
এই আসনে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এবং পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বাবুলের নাম শোনা যাচ্ছে।

বিএনপি মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন আকন্দ, সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

লালমনিরহাট-২
কালিগঞ্জ-আদিতমারী নিয়ে গঠিত এই আসনে বর্তমান এমপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান আহম্মেদের প্রার্থিতা অনেকটাই নিশ্চিত।

বিএনপিতেও একজন আলোচনায় এগিয়ে- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ হেলাল।
আর জাতীয় পার্টি থেকে কেন্দ্রীয় নেতা রোকন উদ্দিন বাবুলের প্রার্থিতাও অনেকটা নিশ্চিত।
 
লালমনিরহাট-৩
এই সদর আসনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আগামী নির্বাচনে আবু সাঈদ দুলালের পাশাপাশি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।

তবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোট হলে এরশাদের সহোদর ও দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

লালমনিরহাট সদর আসনে বিএনপির দীর্ঘ দিনের একক প্রার্থী জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। এবারও তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে দলের স্থানীয় সূত্র জানায়। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন দুলু।

জেলার রাজনীতি নিয়ে মাঠপযার্য়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সহিংসতা ও সংঘাত নয়, চায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা।

(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/মোআ)