‘জঙ্গি’ আব্দুল্লাহর ফ্ল্যাট থেকে ২৩ ফ্রিজ উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ বিস্ফোরণে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল্লাহর ফ্ল্যাট থেকে ২৩টি ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ড্রামভর্তি কেমিকেল, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, বোমা নিক্ষেপ করার যন্ত্র এবং এক কার্টন বোমার কেসিং পাওয়া গেছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, ‘কমল প্রভা’ভবনের পাঁচ ও ছয় তলায় থাকতেন আব্দুল্লাহ। তার ফ্ল্যাট থেকে ২৩টি ফ্রিজ ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকালও কিছু ফ্রিজ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ফ্রিজই নতুন। তবে ফ্রিজগুলো কী কাজে ব্যবহৃত হতো সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেননি।
উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম
ফ্রিজ, স্ট্যাবিলাইজার, ওয়াইন, কেমিকেল, কেরোসিন, দেশীয় অস্র, চাপতি, রামদা, বোমা নিক্ষেপের সরঞ্জাম, এসিড নিক্ষেপের পর আগুন জালিয়ে নিক্ষেপ করার হাতল, প্রিন্টার, ফুট খানেক লম্বা বোমার টিনের কেসিং, বিষ্ফোরক পাউডার, এগারটি বোমা, মদের বোতল।
র্যাবের এই কর্মর্তা বলেন, ভবনের ছয় তলা ও পাঁচ তলা তল্লাশি শেষ হলে অন্যান্য ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করা করা হবে। পুরো ভবন নিরাপদমুক্ত ঘোষণার পর বাসিন্দারা তাদের ফ্ল্যাটে উঠতে পারবেন। তবে আশা করা হচ্ছে আজকের মধ্যেই অভিযান সমাপ্ত হবে।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকার ‘কমল প্রভা’ নামের বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব। এরপর মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়িটিতে পরপর তিনটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়। বাড়ি থেকে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হয়। বিস্ফোরণের পর র্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গিরা নিজেরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
বুধবার ভবনের ভেতর থেকে সাতজনের কঙ্কাল হয়ে যাওয়া দেহাবশেষ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে জঙ্গি আব্দুল্লাহ, তাঁর দুই স্ত্রী, দুই ছেলে এবং বাকি দুজন কর্মচারী বলে ধারণা করা হচ্ছে। আব্দুল্লাহ জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের আল-আনসার সদস্য ছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবারও র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ভবনের ভেতরে ইম্প্রভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকতে পারে এমন ধারণা থেকেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/এএকে/জেডএ)