বিরল রোগে আক্রান্ত ঝিনাইদহের কিশোর ইয়াছিন

এতিম শিশু ইয়াছিন বাঁচতে চায়। উঠে দাঁড়াতে চায়, আগের মতোই স্কুলে যেতে চায়, খেলতে চায় বন্ধুদের সাথে। কিন্তু এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ মাস সে বিছানায় পড়ে রয়েছে। শীর্ণকায় শরীরটা দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইয়াছিন মল্লিক (১৩) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুঠিদূর্গাপুর গ্রামের মৃত বাদশা মল্লিকের ছেলে।

প্রতিবেশী মতিউর রহমান, লিংকন ও মামুন জানান, ইয়াছিনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা পরের জায়গায় বসবাসরত ভ্যানচালক দাদা’র পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা ঢাকাটাইমসকে জানান, ইয়াছিন স্থানীয় মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ছোটবেলায় সে বাবা-মাকে হারায়। ভূমিহীন ভ্যানচালক দাদার সংসারে বড় হচ্ছিল সে। গত ১৭ মাস আগে হঠাৎ করে তার শরীর অবশ হয়ে যায়। হাঁটা-চলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এখন সে হাড্ডিসার শরীর নিয়ে বিছানায় মৃত্যুর মুখোমুখি।

দাদা সলিম মল্লিক ঢাকাটাইমসকে জানান, স্থানীয় ডাক্তারদের দেখানো হয়েছে। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তারা তাকে ফরিদপুর অথবা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

দাদী জহুরা বেগম ঢাকাটাইমসকে জানান, বিনা চিকিৎসায় ইয়াছিন বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়ালেই কেবল এতিম শিশু ইয়াছিন সুস্থ হয়ে আবার স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। দাদি জানান, সাহায্যের জন্যে বিকাশ নম্বর হচ্ছে ০১৭৬২১৯২৮৩১, আর যোগাযোগের জন্যে ০১৯১৩৯৩২১৯১।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও সাবেক আরএমও ডা. রাশেদ আল-মামুন জানান, রোগটা গুইলিয়াম বেরি সিনড্রোম হতে পারে। রোগটা শুরু হয় শরীরের নিচের অংশ থেকে। শরীরের সব মাসল দুর্বল হয়ে যায়। আস্তে-আস্তে সারা শরীরটাই প্যারালাইজড হয়ে যায়।

চিকিৎসক জানান, যত দ্রুত সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রত চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। এমন কোমল শিশুকে বাঁচানোর জন্যে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)