বারান্দায় বসে ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার প্রাচীনতম বহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ দশা। শ্রেণিকক্ষ, আসবাবপত্র, সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের অভাবে বিদ্যালয়টিতে দুই শিফট চালু থাকলেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবনে খোলা বারান্দায় মাদুরে বসে চলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ পাঠদান।
শ্রেণিকক্ষের অভাব থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ অবস্থায় অনেক শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করা যাচ্ছে না। অর্ধশত বছরের পুরোনো বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছে পাঁচ শতাধিক। তাদের পাঠদানের জন্য রয়েছেন আটজন শিক্ষক শিক্ষিকা।
দুটি ভবনের মধ্যে একটি ভবন প্রায় এক যুগ আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ঘরটির টিন কাঠ দেয়াল ধসে খসে পড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বারান্দায় শতাধিক শিক্ষার্থী মাদুরে বসে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর পাশে দাঁড়িয়ে পড়াচ্ছেন।
অপর ভবনে শিক্ষকের অফিস কক্ষ ও কমন রুম। দুটি শ্রেণিকক্ষের গাদাগাদি করে বসা ছাত্রছাত্রী। স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে অনেকে ছাত্রছাত্রী বাইরে দৌড়াদৌড়ি ও হৈ-হুল্লোর করছে। পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস হচ্ছে বাধ্য হয়েই। সামান্য বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় ছাত্রছাত্রীদের বই ও খাতা। আতঙ্কে থাকেন অভিভাবক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তাই ঝড় বৃষ্টি শুরু হলেই ভেজে উঠে ছুটির ঘণ্টা।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ঢাকাটাইমসকে জানান, পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবনটি অপসারণ করে নতুন আধুনিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়ে শৌচাগার না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মারাত্মক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমান ভবন সংকটের কথা স্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, শিক্ষা কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী বহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন কোনো একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)