রাম রহিমের ডেরায় মিলেছে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা
ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ডেরা সাচ্চা সৌদায় দ্বিতীয় দিনের তল্লাশিতে মিলেছে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা।
আজ শনিবার ছিল সিরসার ডেরা সাচ্চা সৌদার সদর দপ্তরে পুলিশি তল্লাশির দ্বিতীয় দিন। আজকের তল্লাশিতে আস্ত একটি বিস্ফোরক কারখানার খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ কার্টুনের বেশি বিস্ফোরক। তল্লাশি অভিযান শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খোঁজ মেলে কারখানাটির।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এখানে বহু দিন ধরে তৈরি করা হত বিস্ফোরক। কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলকে। বিস্ফোরকের প্রকৃতি এবং তা কতটা শক্তিশালী সে সব পরীক্ষা করা দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, কারখানায় তৈরি বিস্ফোরক বাইরে বিক্রি করা হত কি না, সে বিষয়টিরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জোড়া ধর্ষণ কাণ্ডে ‘রকস্টার বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিং জেলে যাওয়ার পর থেকেই সিরসায় ডেরার সদর দপ্তরে হানা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭০০ একরের ডেরা চত্বরে তল্লাশি গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে। তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং সরকারি নানা বিভাগের ১০টি দল। রয়েছে ৪১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী, ফরেন্সিক দলও। পুরো বিষয়টি ভিডিও করে রাখতে লাগানো হয়েছে ৬০টিরও বেশি ক্যামেরা।
প্রথম দিনের তল্লাশিতে মিলেছিল ১ টাকার নীল, ১০ টাকার কমলা রঙের প্লাস্টিকের কয়েন। মিলেছে ১২০০টা নতুন নোট। বাতিল পাঁচশো-হাজারের ৭০০০টা নোট। পাওয়া গিয়েছে ১৫০০ জোড়া জুতা, তিন হাজারেরও বেশি ডিজাইনার কাপড়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অজস্র ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ। ডেরার সদর দপ্তরে বহু লাশ পোঁতা রয়েছে বলেও খবর মিলেছে। সে জন্য ইতিমধ্যেই জেসিবি মেশিন এনে মাটি খোঁড়া শুরু করেছে পুলিশ।
নিরাপত্তার খাতিরে আজও তল্লাশির সময়ে জেলায় মোতায়েন রয়েছেন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। গতকালের মতো আজও ডেরা সদর দপ্তরের বাইরে রয়েছে ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স।
(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/জেএস)