অগ্নিদগ্ধ রেখার স্বামীর আত্মসমর্পণ
রাজশাহীতে স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার দেয়া আগুনে দগ্ধ রেখা বেগমের স্বামী কামরুল হুদা (৪৯) পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। শনিবার বিকাল চারটার দিকে তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
থানার কর্তব্যরত অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাসরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকাল চারটার দিকে কামরুল তার এক ভাইকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করে থানাহাজতে রাখা হয়।
পেশায় ঠিকাদার কামরুল হুদা নগরীর তেরোখাদিয়া শান্তিবাগ এলাকার নুরুল হুদার ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামরুলের স্ত্রী রেখা বেগম (৪০) নগরীর দরগাপাড়া এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হন। রেখা পুলিশকে জানিয়েছেন, নিজের বাল্যকালের বান্ধবী ও কামরুলের পরকীয়া প্রেমিকা ফেরদৌসি খাতুন (৩৫) তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় রেখার ভাই নওশাদ আলী গত শুক্রবার থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নগরীর কসাইপাড়া এলাকার আলম হোসেনের মেয়ে ফেরদৌসি ছাড়াও রেখার স্বামী কামরুল হুদাকে আসামি করা হয়। কামরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেখার শরীরে আগুন দিতে পরকীয়া প্রেমিকা ফেরদৌসিকে ইন্ধন দিয়েছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার ঘটনার দিনই রেখার জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ ফেরদৌসিকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়। আদালতে আবেদন করা হয়েছে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন রেখার স্বামী কামরুল। অবশেষে থানায় গিয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম বাদশা জানান, তিনি বাইরে থাকায় কামরুল হুদার আত্মসমর্পণের বিষয়টি জানেন না। থানায় গিয়ে এ বিষয়টি বলতে পারবেন। কামরুল আত্মসমর্পণ করলে রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দগ্ধ রেখা বেগম এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। শরীরের ৮০ ভাগ দগ্ধ হওয়ায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। দুই সন্তানের মা রেখা বেগমের অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আফরোজা নাজনিন।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/আরআর/জেবি)