স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্তের মা আটক
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নেছারাবাদ উপজেলার জেলে পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ডেকে এনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একদিন পর ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় ধর্ষক প্রেমিক ও তার মাকে আসামি করে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার পর ধর্ষকের মাকে আটক করেছে পুলিশ।
তবে ধর্ষক জাহিদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। সে বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।
ধর্ষিতা ও থানা সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বিনায়েতপুর গ্রামের জেলে সাহেব আলী হাওলাদারের স্যাংগল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের সাথে ইন্দুরকানী উপজেলার চরবলেশ্বর গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জাহিদ হাওলাদারে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলছাত্রীকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে আসতে বললে সে পিরোজপুর আসে। সেখান থেকে ধর্ষক জাহিদ ওই ছাত্রীকে নিয়ে বাড়িতে না উঠে প্রথমে তার চাচাতো বোনের বাসায় ওঠলে সেখান থেকে তাদেরকে নামিয়ে দেয়। পরে তারা পার্শ্ববর্তী চরবলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনে রাতে অবস্থান করে এবং ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
শুক্রবার সকালে পরে বিয়ে করবে বলে ওই ছাত্রীকে তিনশ টাকা ও বাস ভাড়া দিয়ে পিরোজপুরের বাসে উঠিয়ে দেয়। পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি করলে স্থানীয় জনতা তাকে পিরোজপুর সদর থানায় নিয়ে যান। সেখান থেকে পুলিশ তার অভিভাবকদের খবর দিয়ে শুক্রবার বিকালে ইন্দুরকানী থানায় পাঠায়।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ধর্ষিতার বক্তব্য শুনে তাকে বাদী করে ধর্ষক জাহিদ ও তার মা খোদেজা বেগমকে আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের মা খোদেজা বেগমকে আটক করে শনিবার তাকে দায়েরকৃত মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
এদিকে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ও তার মাকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ধর্ষকের মাকে আটক করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/লএ)