‘বাবা’র বেডরুম থেকে সাধ্বীনিবাস পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:১১

গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের ডেরায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে তো পুলিশের চক্ষু চড়ক গাছে। প্রতিদিনই ডেরায় উদঘাটিত হচ্ছে একের পর এক রহস্য। এবার তো ‘বাবা’র কক্ষ থেকে সরাসরি সাধ্বীনিবাস পর্যন্ত এক গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই।

এছাড়া খোঁজ মিলেছে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা থেকে শুরু করে বিস্ফোরক বানানোর নানা ধরনের রাসায়নিকের। তল্লাশির প্রথম দিনেই বাবার ডেরায় পোঁতা রয়েছে প্রচুর লাশ, এমন খবর শোনা যায়। দ্বিতীয় দিন তল্লাশিতে নেমেও চমক অপেক্ষা করছিল পুলিশ–গোয়েন্দাদের জন্য।

জোড়া ধর্ষণ কাণ্ডে সৌদা-প্রধান গুরমিত রাম রহিমের জেলে যাওয়ার পর থেকেই ‘বাবা’র ডেরায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শনিবার তল্লাশিতে নেমে সিরসার ডেরায় একটি গোপন সুড়ঙ্গ ও সুড়ঙ্গপথের খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যেটি বাবা-র কোয়ার্টার থেকে সোজা চলে গিয়েছে সাধ্বীনিবাস পর্যন্ত। ডেরার তিন তলাতেও একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে।

জনসংযোগ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সতীশ মেহরা জানান, ফাইবারের তৈরি ওই সুড়ঙ্গটি কাদায় ভর্তি।

২৮ আগস্ট জোড়া ধর্ষণ মামলায় গুরমিতকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭০০ একরের ডেরা চত্বরে শুক্রবার থেকে তল্লাশি শুরু করে রাজ্য পুলিশ এবং সরকারি নানা বিভাগের ১০টি দল। সঙ্গে ৪১ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী। হাজির ছিল রুরকি থেকে আসা ফরেন্সিক দলও। যার ভিডিও তুলছে ৬০টিরও বেশি ক্যামেরা। গোটা প্রক্রিয়াটির উপরেই কড়া নজর রেখেছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এ কে এস পওয়ার। মঙ্গলবারই এই মামলায় আদালতের কমিশনার হিসেবে পওয়ারকে নিযুক্ত করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।

এর আগে প্রাথমিক তল্লাশিতে প্রচুর কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি ও যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ মিলেছিল গুরমিতের ডেরায়। শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে ডেরা চত্বরেই মিলেছে একটি ওবি ভ্যান ও নম্বর প্লেট-বিহীন একটি বিলাসবহুল গাড়ি। ঘরভর্তি ওষুধেরও সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। মিলেছে ১২০০টি নতুন নোটের পাশাপাশি বাতিল পাঁচশো-হাজারের ৭০০০টি নোটও। উদ্ধার হয়েছে ১৫০০ জোড়া জুতো, তিন হাজারেরও বেশি ডিজাইনার জামাকাপড়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অজস্র ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ।

আগেই অভিযোগ উঠেছিল, গুরমিতের ডেরায় পোঁতা রয়েছে আশ্রমের বহু কর্মীর লাশ। তাদের খুন করে আশ্রম চত্বরেই পুঁতে রাখা হয়েছে বলেই সন্দেহ পুলিশের। জেসিবি মেশিন এনে মাটি খোঁড়া শুরু করেছে পুলিশ। এ দিনও তল্লাশির সময়ে ডেরা সদর দপ্তরের বাইরে ছিল নয়টি ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্সও।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :