ঢাকা-১৬

বিএনপিতে চমক হতে পারেন ফুটবলার আমিনুল

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:০৮

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস

২০১৪ সালের মার্চে বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন বাংলাদেশ ফুটবলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্রীড়াজীবনে দেশের জন্য একাধিক সম্মাননা বয়ে বয়ে আনা আমিনুল খেলাধুলা থেকে অবসরে গিয়ে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। ইতিমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদকদের পদ পেয়েছেন।

রাজধানী ঢাকার পল্লবীতে বেড়ে ওঠা আমিনুল হক আগামী নির্বাচনে ঢাকা-১৬ (পল্লবী-রূপনগর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চান বলে জানা গেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে  এই আসন থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নির্বাচন করেছিলেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি এই আসন থেকে নির্বাচন করবেন এমনটা জানা গেছে। কিন্তু অসংখ্য মামলায় জর্জরিত বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয়। শারীরিকভাবেও খানিকটা অসুস্থ তিনি। তাই শেষ পর‌্যন্ত তিনি নির্বাচনে লড়তে না পারলে ভাগ্য খুলতে পারে আমিনুল হকের।

গত বছর জাতীয় কাউন্সিলের পর ঘোষিত নতুন কমিটিতে পদ পেয়ে আমিনুল দলীয় কর্মসূচিতে বেশ সক্রিয় হন। নির্বাচনী এলাকাতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগেই নিজেকে প্রার্থী হিসেবে গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন এই ক্রীড়াবিদ।

ঢাকাটাইমসকেও নিজের আগ্রহের কথা জানান আমিনুল হক। বলেন, ‘চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। দলের জন্য কাজ করছি। আশা করি দল নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমাকে বিবেচনায় রাখবে।’

পল্লবী ও রূপনগর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২, ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। জন্মস্থান ভোলা হলেও পল্লবী এলাকাতেই বেড়ে উঠেছেন আমিনুল হক।

জাতীয় নির্বাচনের এখনো বেশ সময় বাকি থাকলেও অন্য এলাকার মতো ঢাকা-১৬ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে মাঠে নামছেন আমিনুলও।

নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফুটবলার আমিনুল হক  বলেন, ‘আমার শৈশব-কৈশোর এমনকি যৌবন সবই পল্লবী এলাকায়। এখান থেকেই আমি জাতীয় দলের ফুটবলার হয়েছি। তাই এ আসন নিয়ে আমার স্বপ্ন আছে। দল যদি মনোনয়ন দেয় আসনটি পুনরুদ্ধারে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

এই আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ আরো বেশ কজন মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলীয় হাইকমান্ড যার হাতে দলীয় প্রতীক তুলে দেবেন তার পক্ষেই আমি কাজ করব।’

বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে আমিনুল জানান, ছোটবেলা থেকে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ লালন করেছি। বিএনপিকে পছন্দ করতাম। স্বপ্ন ছিল খেলা শেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিব। সে হিসেবে ২০১৩ সালে খেলা ছেড়ে দেয়ার পর ২০১৪ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেই। গত কাউন্সিলে আমাকে ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এটা স্বপ্নেও ভাবিনি। দল আমাকে এতবড় পুরস্কার দিয়েছে। আমি এর প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করব।’

খেলাধুলা নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে আমিনুল বলেন, ‘১৭ বছর বাংলাদেশ ফুটবলের সঙ্গে ছিলাম। দেশের জন্য অসংখ্য পুরস্কার বয়ে এনেছি। আমি ব্শ্বিাস করি বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের  ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। তাই আমি নতুন চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করব, বাংলাদেশের খেলা নিয়ে যা আগে কেউ ভাবেনি।’

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/মোআ)