শারজাহ শহরে ইরানি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম নগরী শারজাহ-তে একটি ইরানি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। অবৈধ নির্মাণকাজের কথিত অভিযোগ এনে স্কুলের অনুমতিপত্র বাড়াতে অস্বীকার করেছে আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান আলি হোসেইনি বলেছেন, ওই স্থাপনা লিজ নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া ওখানে কোনো নির্মাণ করা হয়নি।
স্কুল বন্ধ করে দেয়ার আমিরাতের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে তিনি বলেন, ‘দেশটির সঙ্গে ইরানের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। তাই ইরানি স্কুল বন্ধ করে তেহরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাইছে।’
দুই দশকের অধিক সময় ধরে আমিরাতে ইরানি স্কুল চলছে। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক জটিলতার কারণে শারজাহ এবং আবুধাবিতে এসব স্কুল সমস্যায় পড়ছে।
হোসেইনি আরো বলেন, ‘ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় তেহরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে। তারা স্কুল চালানোর অনুমতিপত্র পুনরায় নেয়ার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
পাঁচশ' আফগানসহ স্কুলে ১৫০০ ছাত্র রয়েছে। এসব ছাত্রকে বর্তমানের দুবাইভিত্তিক স্কুলগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ২০১৬ সাল থেকে হ্রাস করেছে আমিরাত। দেশটির বড় আঞ্চলিক মিত্র সৌদি আরবের ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এ পদক্ষেপ নেয় আমিরাত।
শিয়াদের শীর্ষ নেতা আলেম নিমার আন-নিমারের প্রাণদণ্ডকে কেন্দ্র করে ইরানের তেহরান ও মাশাদ শহরে সৌদি কূটনৈতিক এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এ পদক্ষেপ নিয়েছিল রিয়াদ।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এসআই)