নড়াইলে ওসিসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:১৩

নড়াইলের লোহাগড়া থানার সাবেক ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, পাঁচ এসআই, তিন এএসআইসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান।

সোমবার দুপুরে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদের আদালতে মামলা করা হয়।

এছাড়া এ মামলায় আসামি করা হয়েছে আ’লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম এবং নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মঞ্জুরুল মোর্শেদ মুনকে।

লোহাগড়া থানার ভেতরে বাদীকে (মতিয়ার) নির্যাতনের অভিযোগে এক বছরের বেশি সময় পরে এ মামলা করা হয়েছে। মামলাটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এসআই নয়ন পাটোয়ারী, এসআই শিমুল কুমার দাশ, এসআই নাছির উদ্দিন আকন্দ, এসআই মিহির কান্তি পাল ও এসআই শাহিনুর রহমান এবং এএসআই মাসুদুর রহমান, এএসআই তানভীর হোসেন, এএসআই আব্দুল হাকিমসহ চার পুলিশ সদস্য।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মামলার বাদী মতিয়ার রহমান এড়েন্দা বাজার এলাকায় বসে লোকজনের সাথে লোহাগড়া পৌরসভার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল আলমের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় অপর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শেখ শরিফুল ইসলাম চারটি মোটরসাইকেলে ৮-৯ জন লোকসহ উপস্থিত হয়ে বাদী (মতিয়ার) এবং তার লোকজনের সাথে কথা বলেন। লোহাগড়া পৌর নির্বাচনে তার (শরিফুল) পক্ষে কাজ করার আহবান জানালে মতিয়ার তা অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন শরিফুল ও তার লোকজন। ওইদিন রাত ৯টার দিকে মামলার বাদী মতিয়ার রহমানসহ তার সমর্থকরা মেয়র প্রার্থী আশরাফুল আলমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হলে কচুবাড়িয়া এলাকায় শরিফুলের লোকজন অস্ত্রসহ মহড়া দেয়। পরে পুলিশ দুটি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলিসহ জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনকে আটক করে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে ওইদিন (০৩.০৮.১০১৬) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়র প্রার্থী আশরাফুল আলমের সমর্থকেরা শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল সহকারে লোহাগড়া থানার দিকে আসেন। লোহাগড়া থানার তৎকালীন ওসি বিপ্লব সাহাসহ পুলিশ সদস্যরা থানার গেটের সামনে মিছিল থামিয়ে দেন এবং মতিয়ার রহমানকে থানার ভেতরে ডেকে নিয়ে যান। মতিয়ার থানার ভেতরে গিয়ে শরিফুল ইসলামকে দেখতে পান। এ সময় ওসি বিপ্লব সাহা এবং শরিফুল ইসলাম মতিয়ারকে গালমন্দ করেন। এসআই, এএসআইসহ পুলিশ সদস্য মতিয়ারকে রাইফেলের বাট দিয়ে মারতে থাকেন। এছাড়া ৮৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন সেট ও ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। অসুস্থ মতিয়ারকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল মোর্শেদ মুন জখম উল্লেখ না করে হাইপার টেনশন ও ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত হিসেবে ভর্তি করেন।

মতিয়ার রহমান বলেন, লোহাগড়া থানা মামলা গ্রহণ না করায় এ মামলা করতে বিলম্ব হল। এছাড়া তৎকালীন ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা লোহাগড়া থানায় কর্মরত থাকায় ভয়ে মামলা করার সাহস পাননি বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :