মঠবাড়িয়ায় ছেলের হাতে মা খুন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ভোলমারায় ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছেলে আ. রহিম কুপিয়ে মা সাজেদা বেগমকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত সাজেদা বেগম উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ভোলমারা গ্রামের কৃষক আ. জব্বার খানের স্ত্রী ছিলেন। তিনি ৫ সন্তানের জননী।
বড়মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার দুপুরে সাজেদা বেগম ছাগলের ঘাস সংগ্রহের জন্য বাড়ির সামনে ঘাস কাটতে যান। দুপুরে খাবার সময় স্ত্রী ঘরে ফিরে না আসায় স্বামী আ. জব্বার খান স্ত্রীকে খুঁজতে গিয়ে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
নিহতের স্বামী আ: জব্বার খান জানান, সম্প্রতি কোরবানির ৬/৭ দিন আগে পুত্র রহিমের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। বিষয়টি পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম স্বামী রহিমকে জানায়। রহিম সেই থেকেই মায়ের উপর ক্ষিপ্ত ছিল। সোমবার দুপুরে সাজেদা খাতুন কাচি নিয়ে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে ঘাস কাটতে যায়। পাশেই সবজি ক্ষেতে কাজ করতে থাকা পুত্র রহিম মায়ের সাথে ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করে নিকতবর্তী পুকুরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
রহিমের বড় বোন জামাই উলুবাড়িয়া গ্রামের মো. ফারুক হাওলাদার জানান, এ ঘটনার পর সোমবার দুপুরে শ্যালক রহিম তার স্ত্রী আমেনা বেগমের কাছে মোবাইল ফোনে জানায় মাকে এদিক সেদিক না খুঁজে পুকুরে গিয়ে খোজার জন্য বলেন।এবং মাকে হত্যার কথা মুঠোফোনে স্বীকার করেন। পরে ফারুক হাওলাদার বিষয়টি ফোনে শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিকাল ৫টার দিকে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)