মুক্তির দুমাস পরও বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে স্পাইডারম্যান
বছরে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা বিদেশি ভাষার ছবি মুক্তি পায় চীনে। যে জন্য জুলাইতে ‘স্পাইডারম্যানঃ হোম কামিং’ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে মুক্তি পেলেও মাত্র গত সপ্তাহেই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে চীনে। আর মুক্তি পেয়েই চীনে বাজিমাত করেছে ছবিটি। ইতোমধ্যে চীন থেকে আয় করে নিয়েছে ৭০.৮ মিলিয়ন ডলার, যা চীনে উদ্বোধনী সপ্তাহে আয়ের দিক থেকে যে কোনো ছবির জন্য তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সনি এবং মারভেল এর এই ছবিটির এখন পর্যন্ত মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৮২২.৮ মিলিয়ন ডলারে। যার মধ্যে ৪৯৫.৩ মিলিয়ন বৈদেশিক আয় এবং ৩২৭.৭ মিলিয়ন অভ্যন্তরীণ আয়।
মারভেল এবং ডিজনির ‘অ্যাভেঞ্জারসঃ এজ অফ আল্ট্রন’ এখন পর্যন্ত চীনে সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। ছবিটি আয় করেছিল ১১৫.৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া এই সিরিজের পরের ছবি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকাঃ সিভিল ওয়ার’ ৯৩.৬ মিলিয়ন ডলার আয় করে চীনে।
আর এসব কারণেই চীনের এ সাফল্যের গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা আয়ের একটা বিরাট অংশ কোনো রকম ঝঞ্জাট ছাড়াই আসে চীন থেকে। তাই আমেরিকার বক্স অফিসেও ‘স্পাইডারম্যানঃ হোম কামিং’ এর জয় জয়কার। কেননা মুক্তির দুমাস পার হয়ে গত সপ্তাহে বৈদেশিক আয় দিয়ে প্রথম অবস্থানে উঠে এসেছে ছবিটি। ব্যবসার দিক থেকে এগিয়ে থাকা অন্য ছবি হল ওয়ারনার ব্রোস এর হরর ছবি ‘ইট। যা মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ৪৬টি দেশে থেকে ৬২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।‘ইট’এর মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৭৯.২ মিলিয়ন ডলারে। ছবিটি স্টিফেন কিং এর উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি।
সনি ও মারভেল আশা করছে চীনে হোম কামিং ১০০ মিলিয়নএর বেশি আয় করবে। যদিও আগামী সপ্তাহে স্পাইডারম্যানকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ‘ওয়ার ফর দ্যা প্ল্যানেট ওফ দ্যা এপস’ এর সাথে। দেখা যাক এখন শেষ অব্দি মারভেল এবং সনির ঘরে কত আসে।
ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/টিজেটি