‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতিহাস হয়ে থাকবেন শেখ হাসিনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:২৮

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, ‘ইন্ধিরা গান্ধী যে রকম বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেটা ইতিহাস হয়ে আছে। সেটি যে রকম মানবতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল আজকে রোহিঙ্গার বিষয়টিও কিন্তু মানবতার। শরণার্থী সমস্যার সমাধানে যে মানবতাবাদের পদক্ষেপ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিয়েছেন আমরা আশাবাদী এর সমাধান অবশ্যই হবে। তিনিও ইতিহাস হয়ে থাকবেন।’

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভা সফল করতে যুবলীগের কর্মীদের প্রতিনিধি সভায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় বিরতি রিসোর্টে যাত্রা বিরতিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি সময়ে বিএনপি’র অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে বিভ্রান্ত করার লোক থাকে। শয়তান তো থাকবেই। শয়তানের বুদ্ধি যা আছে তারা সেটি প্রয়োগ করবে। মানুষ এর বিচার করবে।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটা কিন্তু প্রমাণ করেছে বিশ্ব শান্তির একমাত্র নেতা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ১৯৪টি রাষ্ট্রস্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দর্শন। তিনি কী ভাবেন, কী চিন্তা করেন তা জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত। জাতিসংঘে যদি কোনো শান্তির দর্শন থাকে তাহলে একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার।’

নোবেল বিজয়ীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বারাক ওবামা। কিন্তু বারাক ওবামার কোনো দর্শন জাতিসংঘে স্বীকৃত নেই। শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ড. ইউনুস। মিয়ানমারের এ ঘটনায় তিনি কোথায়?’

শান্তির জন্য নোবেল দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নোবেল জয়ী অং সান সূ চি। তার দেশেই ঘটনাটা ঘটছে। আজকে যে মানবতার প্রশ্ন আসছে যেখানে ইউরোপ প্রত্যেকটা বর্ডার সিল করে দিচ্ছে। সেই জায়গায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এই শরণার্থীরা আসছেন। এটার জন্যও তো আজকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার বিষয়।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে তৃতীয় পক্ষ লাগেনি। দুই পক্ষই অস্ত্রধারী ছিল। সেখানে অস্ত্র ছাড়া কথার মধ্য দিয়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে, সমঝোতার ভিত্তিতে তিনি সে কাজটি করেছেন। পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি হয়েছে।’

ওমর ফারুক বলেন, ‘এই যে শান্তিবাদী চেতনা বলেন, মানবতাবাদী পদক্ষেপের কারণে সারা বিশ্বে কিন্তু নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সমস্যা সমাধানের আলোকবর্তিকা হিসেবে তিনি উদ্ভাসিত হয়েছেন। এটি কিন্তু আজকে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

বিএনপি রাজনীতির প্রত্যেকটি ধারাবাহিকতায় মানুষকে বিভ্রান্ত করে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, পুলিশের মাথা থেতলে দিয়ে, বায়তুল মোকারমে কোরআন শরিফ পুড়িয়ে রাজনীতি। এই যে পোড়া মানুষের গন্ধ বিএনপি’র সেই পোড়া মানুষের গন্ধ কিন্তু এখন নোবেল জয়ী অং সান সু চির গায়েও। রোহিঙ্গা ইস্যুটা এখন একটা মানবতার ইস্যু। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা আশাবাদী এই ইস্যুটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। জাতিসংঘে এটা নিয়ে কথা হবে।’

যুবক মানেই সৃষ্টিশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রমগুলো যাতে সুন্দর থাকে, আমাদের পদক্ষেপ যাতে সঠিক থাকে। মানুষের দুঃখ কষ্টের সময় মানুষের পাশে থাকা এটাই আমরা শিখেছি। রাজনীতি মানে সমঝোতাশীল, এটাই আমাদের শিখিয়েছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান চঞ্চল, সহ-সভাপতি খান আহমেদ শুভসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/আরকে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :