আলফাডাঙ্গায় আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একটি হত্যা মামলার আসামিদের বাড়ি ঘরে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার গভীর রাতে বানা ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ নেওয়াজ আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, মোশাররফ মোল্যা ও রাব্বানি মোল্যার গ্রুপের মধ্যে শনিবার বিকালে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একই গ্রামের রাব্বানি গ্রুপের জান্নাত মোল্যা ওইদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই ইমদাদুল হক বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভয়ে আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেলে সোমবার রাতে আসামি মোশারফ মোল্যা, আরফিন মোল্যা, লিয়াকত মোল্যা ও সেলিম মোল্যার বাড়িতে ঘরের তালা ভেঙে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। দুবৃর্ত্তরা এ সময় চারটি বাড়ির ছয়টি ঘরে থাকা মূল্যবান মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করে।

হামলার শিকার লিয়াকত মোল্যার বোন রিলা বেগম জানান, রাত আনুমানিক ১০টায় বাদী পক্ষের ১৫/২০জন সমর্থক আমাদের বাড়িগুলোতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ধান পাটসহ প্রায় ২০লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও ক্ষতিসাধন করে। এ সময় মামলার ভয়ে বাড়ির পুরুষ লোকজন বাড়িতে না থাকায় আমরা ঘরে তালা লাগিয়ে আশপাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম।

হত্যা মামলার বাদী ইমদাদুল হক বলেন, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে আসামিরা নিজেদের বাড়ি ঘরে নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো অভিযোগ তুলেছে।

বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদি হুমায়ন কবির বলেন, মৃত্যুর খবর শুনে লুটপাট ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনকে আমি ফোন করে জানিয়েছি। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও রাতের আধারে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

জানতে চাইলে ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশ এর উপস্থিতিতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)