বিদেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ নিয়ে তদন্ত চলছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:১৮ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিদেশে জিয়া পরিবারের সম্পদ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের সদস্যদের নামে বিদেশে কী কী সম্পদ আছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংসদ ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলেদের এবং বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার নামে বিদেশি কোথায় কী সম্পদ আছে তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছ প্রতিকার জানতে চান ফখরুল ইমাম। একটি বিদেশি সংস্থার প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে এগুলো পেয়েছেন বলে ফকরুল ইমাম জানান।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তথ্যগুলো যখন বের হয়েছে তখন নিশ্চয়ই আমাদের কাছে তা আছে। এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে মানিলন্ডারিংয়ের জন্য একটি তদন্ত ব্যবস্থা আছে। সেই সূত্রেও তদন্ত করা হচ্ছে। এই তদন্তের মধ্য দিয়ে সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের বহু অভিযোগ তো জনগণ সব সময় করেছে। এটা সবারই জানে। ইতিমধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের কিছু টাকা আমরা কিছু ফেরতও আনতে সক্ষম হয়েছি। বোধ হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম কারও পাচার করা টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু জিআইএন রিপোর্টটা দিয়েছে-কাজেই এ রিপোর্ট আমাদের কাছে আছে এবং এটার ওপর তদন্ত চলছে।

সংসদে তথ্যটি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার থেকে তুলে ধরলে বহু লোক আছে তারা মায়াকান্না শুরু করত-আমরা হিংসাত্মক হয়ে এটা করি। বিরোধী দল থেকে যেহেতু এটা এসেছে নিশ্চয়ই মানুষ এটা উপলব্ধি করতে পারবে-এই জনগণের সম্পদ কীভাবে লুট করেছে। যার কারণে তাদের আমলে বাংলাদেশ পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আর্থসামাজিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। জনগণের সম্পদ যারা লুটে নিয়েছে নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত করে যখনই আমরা এই বিষয়ে সঠিক তথ্য পাব-নিশ্চয়ই তা ফেরত আনার ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। তদন্তের স্বার্থে সব আমি এই মুহূর্তে বলতে পারলাম না।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এমএম/জেবি)