রোহিঙ্গা নির্যাতন: নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চলমান নির্যাতন ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই সহিংসতা বন্ধে দেশটির সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া দেশটির প্রতি রাখাইনে মানবিক সহায়তাকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে এক বিবৃতিতে ওই উদ্বেগ, নিন্দা ও আহ্বানের কথা জানান।
বৈঠক শেষে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি জাতিসংঘে ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত তেকেদা আলেমু সাংবাদিকদের বলেন, রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান অভিযানের সময় ব্যাপক সহিংসতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিষদের সদস্যরা এ সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠক শুরুর আগে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গাদের ওপর এই নিপীড়নকে ‘কার্যত জাতিগত নির্মূল’ বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া রাখাইনে বেসামরিক লোকজনের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণকে ‘উদ্বেগজনক’ এবং ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে জাতিসংঘে সুইডিশ স্থায়ী প্রতিনিধি ওলোফ স্কুগ বলেন, জাতিসংঘ তাদের ব্যাপারটি দেখবে, এই বার্তা রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছুতে হবে। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং সে কারণেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবও অনুরোধ জানিয়েছিলেন নিরাপত্তা পরিষদ যেন এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলে। আমার মনে হয় যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখান থেকে যেন একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা নেয়া যায়। যেন একটা পরিস্কার বার্তা পাঠানো যায় এখন কি করা উচিত, কিভাবে সেখানে মানবিক সাহায্য পাঠানো যায় এবং কিভাবে কফি আনানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়।
জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যে সংখ্যায় মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে ঢুকছে, সে তুলনায় ত্রাণ-সাহায্য অপ্রতুল। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এখনই সাহায্যের মাত্রা অনেক বাড়াতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/জেএস)