খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সংক্রান্ত আদেশ ১৭ সেপ্টেম্বর

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৫১

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনের আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী শুনানি শেষে নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

শুনানিকালে মামলার বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত হন। এদিনও তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

এর আগে গত ১১ জুন সমন জারি হয়ে আসার পরও খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন ওই বাদী।

এর আগে চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারী তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান মামলাটিতে প্রতিবেদন দেন। এরপর গত ২২ মার্চ তা আমলে নিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১১ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করে আদালত।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। ওই মন্ত্রিপরিষদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা প্রকাশ্য এবং আত্মস্বীকৃতিরূপে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, আলবদর, আলসামস কমিটির সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রী ও এমপি বানান। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এরমধ্যে খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রিত্বপ্রাপ্ত মহিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মুত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন মন্ত্রিত্বের সুবিধা নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা তাদের বাড়ি এবং গাড়িতে ব্যবহার করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তিদের তার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকাকে ওই স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে তুলে দিয়ে সত্যিকারের দেশ প্রেমিক জনগণের মর্যাদা ভুলণ্ঠিত করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০ ধানার মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের সুযোগ না থাকায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হলো।’

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ‘স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা মানহানি ঘটানোর অভিযোগে সিএমএম আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন। ওইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাকে হুমকি তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেন নাই। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতা বিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেয়। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা মানহানি ঘটিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/আরজে/জেডএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :