নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলায় কিশোরীর মরদেহ উত্তোলন

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৫০ | প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৩৯

নেত্রকোণা সদরে গণধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় আদালতের নির্দেশে পান্না আক্তার নামে এক কিশোরীর মরদেহ পুনঃময়নাতদন্তের জন্যে কবর থেকে তোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরাকোণা গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম সাইদা পারভীন, নেত্রকোণা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ নূরে এ আলম জানান, পুনঃময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করলে আদালত তাতে সাড়া দেয়। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে সকাল ১১টায় লাশ উত্তোলন শুরু হয়ে বেলা দেড়টার দিকে শেষ হয়।পরে মরদেহটি নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে গ্রেপ্তার দুই আসামি কৌশিক সরকার ওরফে অপু (২৩) এবং মামুন মিয়া আকন্দ (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে কৌশিক প্রধান আসামি। তিনি জেলা ছাত্রলীগের কৃষিবিষয়ক উপসম্পাদক। কৌশিক সরকারকে বিচারিক হাকিম সৈয়দ আবদুল্লাহ আল হাবিবের আদালতে এবং মামুন মিয়াকে জুলফিকার আলী রনির আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে রাতে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, প্রথমে লাশ উদ্ধারের পর হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চেয়ে লাশটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন এখনও আসেনি।

অন্য আসামি সুলতানকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে পান্না আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগ ওঠায় নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের (আরএমও) আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ডরিলিজ) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের বদলির এই আদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম।

সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন সমীর কান্তি সরকার স্বাক্ষরিত বদলিপত্রে তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে আরএমও পদে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

পান্না গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় এই বদলি কি না জানতে চাইলে মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, এই ক্রাইসিসটাতো ছিলই। কিশোরী পান্নার মা আলপনা আক্তার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটিতে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা গ্রামের তিন আসামি মেয়েটিকে পাশের মাছের খামারে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল।

অভিযোগ আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।

পরদিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :