নেত্রকোণায় দলবেঁধে বালিকা ধর্ষণ: সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
নেত্রকোণা সদরে এক বালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা কৌশিক সরকার অপুকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
শুক্রবার জেলা ছাত্ররীগের সভাপতি মো. ফয়জুর মোর্শেদ খান অমি ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জনি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনটির জেলা শাখার জরুরি সভায় কৃষিবিষয়ক উপ-সম্পাদক কৌশিক সরকার অপুকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ নূর এ আলম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপুকে পারলা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কৌশিক এ মামলার প্রধান আসামি।
বুধবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অপু।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কৌশিক সরকারকে বিচারিক হাকিম সৈয়দ আবদুল্লাহ আল হাবিবের আদালতে হাজির করলে এই জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই দিনে আরেক আসামি মামুন মিয়া আকন্দও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রথমে লাশ উদ্ধারের পর হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চেয়ে লাশটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন এখনও আসেনি।
সোমবার ‘ধর্ষিত’ বালিকার মা আলপনা আক্তারের করা মামলায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোণা গ্রামের তিন আসামি মেয়েটিকে পাশের মাছের খামারে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা কৌশলে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তখন মেয়েকে ‘বিধ্বস্ত’ দেখাচ্ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঘরে এসে মেয়েটি ওই তিন আসামি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর ‘ধর্ষণকারী’ যুবকদের একজন তাদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে।
পরদিন বেলা ১১টার দিকে পাশের ঘরের আড়ার সঙ্গে মেয়েটির ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ মামলার আরেক আসামি সুলতান পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)