ঢাকা-২: আ.লীগে কামরুল না শাহীন?

তানিম আহমেদ
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:১১

ঢাকা সিটি করপোরেশন, কেরানীগঞ্জ ও সাভারের অংশবিশেষ জুড়ে ঢাকা-২ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলে এখন পর‌্যন্ত দুজন মনোনয়ন-প্রত্যাশীর নাম জানা যাচ্ছে। এলাকায় এই দুজনেরই প্রচারণা চোখে পড়ছে। তারা হলেন বর্তমান সাংসদ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।

নির্বাচনের আরো এক বছর বাকি থাকলেও রাজধানীর এই আসনে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের আগাম প্রচারণা চলছে জোরেশোরে। তারা নিজ নিজ নেতার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

কামরুলের কর্মীরা বলছেন, তিনি এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছেন, এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন, তাই তিনিই এবার মনোনয়ন পাবেন।

আর শাহীনের সমর্থকদের দাবি, তিনি তৃণমূলে নেতাকর্মীদের কাছাকাছি থাকেন বলে তাদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য, তাই দলীয় হাইকমান্ড তাকে মূল্যায়ন করবেন।

সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ সংসদীয় আসন।

এক-এগারোর সরকারের সময় আন্দোলনে পরিচিত মুখ কামরুল ইসলাম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকেট পান। তিনি বিএনপি প্রার্থী মতিউর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েই তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান খাদ্যমন্ত্রীর। এখনো সেই দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। নিয়মিতই এলাকায় সভা-সমাবেশ এবং গণসংযোগে করছেন।

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে শনিবার রাতে মুঠোফোনে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একজন প্রার্থীর যেসব প্রস্তুতি থাকে আমার সেসব প্রস্তুতি আছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় গেলে দেখতে পাবেন।’

কামরুল ইসলামের সমর্থকরা বলছেন, দুই দফা নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন কামরুল ইসলাম। এ ছাড়া সাধারণ জনগণের সঙ্গেও তার নিবিড় সম্পর্ক। যেহেতু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই শক্ত ও জ্যেষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে তাকে মনোনয়ন দিলে আসনটি ধরে রাখা সম্ভব হবে।

অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহীন আলমকেও শক্ত প্রার্থী বলে দাবি করছেন তারা কর্মীরা। কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ। তিনি গত দশম সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ ও ২০১৬ সালে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদক পান শাহীন আহমেদ। তিনি নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ, কর্মিসভা, পথসভা করছেন।

শাহীন আহমেদের সমর্থকরা জানান, নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষাসহ বিভিন্ন সমাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। এ ছাড়া দলের তৃণমূলের নেতাকর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তার। দলের দুঃসময়ে তিনি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। আগামী নির্বাচনে দল থেকে মূল্যায়নের আশা করেন তার সমর্থকরা।

শাহীন আহমেদও মনে করেন দলের জন্য তার অবদান মূল্যায়ন করবে দল। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড এরই মধ্যে বলেছেন, তৃণমূলে যারা গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয় তাদেরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এ বিবেচনায় যদি দল এ আসনে কাউকে মনোনয়ন দেন তাতে আমিই দলের মনোনয়ন পাব বলে আশা করি। দলের জন্য কাজ করি। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। তাই আমি মনে করি দল আমাকে আগামীতে মূল্যায়ন করবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: আ.লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চরমোনাই পীরের উদ্বেগ 

শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে কুরআনের শিক্ষা চালু করতে হবে: মুজিবুর রহমান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :