শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আংশিক যুক্তিতর্ক
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামিপক্ষের আংশিক যুক্তিতর্ক শুনানি পর আগামী ১৫ অক্টোবর অবশিষ্ট যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।
রবিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজের পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী এজলাসে বিচারক মো. জাহিদুল কবির আংশিক যুক্তিতর্ক শেষে এ দিন ধার্য করেন।
১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। মামলায় ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায় বলে এজাহারে অভিযোগ।
মামলার তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। মামলার আসামিদের মধ্যে গোলাম সারোয়ার, ফ্রিডম সোহেল, জর্জ, মো. শাজাহান বালু, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ কারাগারে রয়েছেন। জামিনে রয়েছেন হুমায়ুন কবির (১), মিজানুর রহমান, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল ও গাজী ইমাম হোসেন।
মামলার অপর আসামি সৈয়দ ফারুক রশীদ ও বজলুল হুদার বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাদের অভিযোগ গঠনের সময় অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অপর চার আসামি লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, মো. হুমায়ুন কবীর (২), জাফর আহম্মদ, রেজাউল ইসলাম খান পলাতক ছিলেন। ২০১৪ সালেই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আসে। কিন্তু পলাতক থাকা আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে ২০১৪ সালে ২০ মার্চ ইন্টারপোলের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর পুনরায় ওই আসামিপক্ষে জেরার জন্য সাক্ষীদের রি-কল করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/আরজে/জেডএ)