দেড়শ বছরের ঐহিত্যবাহী কুমার নদে নৌকাবাইচ
দেড়শ বছরের ঐহিত্যবাহী ভাঙ্গা কুমার নদে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। হাজার হাজার লোক বাইচের আনন্দ উপভোগ করেন। বিশ্বকর্মা পূজা কমিটি এ বাইচের আয়োজন করে।
প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পূজাকে কেন্দ্র করে ভাঙ্গার কুমার নদে গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী এই নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এই বাইচের বয়স দেড়শ বছরের অধিক। প্রতিবছর এই বাইচ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলে উৎসবের আমেজ। প্রায় সপ্তাহ ব্যাপী চলে নদের পাড়ে গ্রামীণ মেলা। মেলায় বিভিন্ন বয়সীদের জন্য নানা ধরনের খাবারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরীদের জন্য রয়েছে নানা রংয়ের খেলনা।
বাইচ শেষে থানা চত্বরে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাইচ প্রতিযোগিতায় ৩৬টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। তিন ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার দেয়া হয়।
ছোট নৌকায় ১ম ভাঙ্গা কোর্ট পাড়ের সাইফুল আলম সোহাগ, ২য় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারীর বাহাড়া সবুজ সংঘ, ৩য় ভাঙ্গার বালিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন।
মাঝারী নৌকায় ১ম ভাঙ্গার বড়দিয়ার মান্নান মাতুব্বর, ২য় রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি গ্রামের অমূল্য ভক্ত, ৩য় মুকসুদপুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আঃ রব।
বড় নৌকায় ১ম পুরস্কার পায় ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাবু মাতুব্বর, ২য় ভাঙ্গা পৌরসভার নুরপুরের জাকারিয়া মাতুব্বর, ৩য় ভাঙ্গার তুজারপুরের সিরাজ মাতুব্বর। এদের সকলকে এলইডি টেলিভিশন উপহার দেয়া হয়। বাকিদেরও সান্ত্বনা পুরস্কার হিসাবে টেলিভিশন উপহার দেয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ নিলুফার জাফরউল্লাহ।
ভাঙ্গা বিশ্বকর্মপূজা কমিটির সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)