বাংলাদেশ কি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারবে?

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:০৬

রোহিঙ্গা নিধন মনে হয় শেষ করে এনেছে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী। অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে। কারণ রোহিঙ্গারাএখন কম সংখ্যায় বাংলাদেশে আসছে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে আর কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে জাতিগত নিধনের নীল নকশার প্রথম পর্ব বাস্তবায়ন মিয়ানমার করে ফেলেছে বলা যায়। অথচ আন্তর্জাতিক বিশ্ব কয়েকদিন হল, জাতিগত নিধন বা গণহত্যা বন্ধে (?) মিয়ানমার সরকারকে আহবান জানাচ্ছে! জাতিসংঘ মহাসচিব খুব ‘শক্ত’ ভাষায় অং সান সু চিকে ‘নির্যাতন’ বন্ধের আহবান জানিয়েছেন।

সর্বশেষ বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষতকারে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘যদি এই মুহূর্তে সু চি কোন পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে’। এমনকি মিয়ানমারের মূল ভরসা চীন পর্যন্ত সুর পরিবর্তন করে বলেছে, রোহিঙ্গারা যেন দেশে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য বাংলাদেশের সাথে ‘কাজ’ করবে তারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিন্দুত্ববাদী, সাম্প্রদায়িক নেতা নরেন্দ্র মোদী শুরুতে স্বশরীরে মিয়ানমারে গিয়ে সু চিকে রোহিঙ্গা নিধনে তার সরকারের সমর্থন জানিয়ে আসলেও, কদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ‘পাশে’ থাকার কথা জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পর্যন্ত পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের আরেক সাথী রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে বর্ণনা করেছে। আবার মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বিশ্বের নানা দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে, গণহত্যার মাত্রা এবং বর্বরতা এতই ভয়ংকর যে, বিবিসি, সিএনএনের মত অবস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম পর্যন্ত রোহিঙ্গা নিধনের খবর প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে। সব মিলে অং সান সু চি এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে ধীরে ধীরে।

কদিন আগে জাতিসংঘের এক সভায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে বিশ্বের পরাশক্তিগুলো বিরল এক ঐকমত্য দেখিয়েছে। আরাকানে সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ‘মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ’ করছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে এর নিন্দা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সর্বসম্মত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিরল ঐকমত্য’ বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তবে সে সভায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর একটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে চীন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ আবাসনের লক্ষ্যে ‘সেভ জোন’ গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশের দেয়া প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।সব মিলে এ কথা বলা যায়, মানবিক কারণে এবং খানিকটা পূর্বপ্রস্তুতির অভাবে রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে না পারলেওবাংলাদেশ বিষয়টিকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে আপাতত সাফল্য লাভ করছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, বাংলাদেশ কি শেষ পর্যন্ত পারবে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে পারবে?

আরও অনেক প্রশ্ন জনমনে আসছে।বাংলাদেশ কি মিয়ানমারের তুলনায় দুর্বল রাষ্ট্র? যুদ্ধ লেগে যাবে কি না? যুদ্ধ লাগলে কি আমরা পারব? পৃথিবীতে আদৌ কি আমাদের কোনো বন্ধু রাষ্ট্র আছে? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন দেশবাসীর মনে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ভেতরে ঘুরপাক খাচ্ছে। মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বহুবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। বাংলাদেশ কূটনৈতিক পথে প্রতিবারই এর প্রতিবাদ করেছে। আর কত বার আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে, মিয়ানমারকে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে, এমন প্রশ্নে ফেসবুক সয়লাব হয়ে গেছে। প্রশ্নের পাশাপাশি উত্তরও লিখে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্রায় সকলেই বলেছেন, মাথা গরম করে পাল্টা হামলা বা সামরিক কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। দেশের অধিকাংশ মানুষ বলছেন, সরকার সঠিক পথেই আছে, কূটনীতির মাধ্যমেই মিয়ানমারকে এখন মোকাবেলা করতে হবে। যুদ্ধের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে হবে।

ভারত যে নিজ স্বার্থে মিয়ানমারের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে যাবে না, এটিও সে ইতোমধ্যেই নানাভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠানো আর রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করা এক জিনিস নয়। ভারত এমনকি সেদেশে আশ্রয় নেয়া ৪০,০০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে! এই রোহিঙ্গাদেরকে ভারত নিশ্চয় মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে না। ফেরত পাঠালে কোথায় ফেরত পাঠাবে, এমন প্রশ্নও মানুষের মনে জাগছে।

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ’ হলেও সবচেয়ে বেশি সংকট মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। এই বিশালসংখ্যক শরণার্থীকে অস্থায়ী বাসস্থান, খাদ্য, কাপড়-চোপড়, চিকিৎসা সেবার মত মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোর গুরু দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাময়িক ত্রাণ দেয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে ফান্ড গঠনের কাজও বাংলাদেশকে করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার গুরু দায়িত্বও পালন করতে হবে বাংলাদেশকে। সরকারবিরোধী শক্তিগুলো অরাজকতা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি বিদেশী কোনো গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় এদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে রোহিঙ্গাদের একটা অংশকে ব্যবহার করার আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকেও কড়া সতর্ক রাখতে হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে দেশের মানুষের মনে মুখ্য প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ কি শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে সক্ষম হবে? কূটনীতির পথে কতখানি সফল হবে বাংলাদেশ? সাধারণ মানুষ এখনো পুরোপুরি হতাশ হয়ে আশা ছেড়ে দেয়নি। জনতার ভরসার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবিকতা এবং উদারতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছেন এই মহান নেতা। বাংলাদেশ সরকার ইচ্ছে করলে একটা রোহিঙ্গাও প্রবেশ করতে পারত না বাংলাদেশে।আমাদেরও বিজিবি আছে, আর্মি আছে, আছে কোটি কোটি সাহসী মানুষ। আমাদের বর্ডার আমরা সিল করে বসে থাকলে, বর্বর বর্মী আর্মির সাধ্য ছিল না, তাদের দেশের রোহিঙ্গাদের এদেশে ঠেলে দিতে। শেখ হাসিনা একজন মানবিক নেতা হিসেবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। আবার রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করতে না দিলে, দেশব্যাপী জনরোষ সৃষ্টি হত। রোহিঙ্গারা আমাদেরই ভাই-বোন কিংবা বাবা-মায়ের মত। একই চেহারা-সুরুত, বাংলা ভাষারই একটা বিশেষ রুপ ব্যবহার করে এরা কথা বলে। ধর্মও ইসলাম। সব মিলে রোহিঙ্গাদের থাকতে দিয়ে, প্রাণ বাঁচাতে সহযোগিতা করে শেখ হাসিনা প্রকৃত নেতার পরিচয় দিয়েছেন। মানবতার নতুন সংজ্ঞা সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা। ভারত যেখানে ৪০,০০০ রোহিঙ্গাকে বের করে দেয়ার কথা বলছে, শেখ হাসিনা সেখানে ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে মায়ের আশ্রয় দিয়েছে বিশ্ব মানবতার কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কোনো সদস্য নয়।

পাশাপাশি এটাও বলেছেন শেখ হাসিনা যে, রোহিঙ্গাদের একদিন ফিরিয়ে নিতেই হবে মিয়ানমারকে। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা সরকার। প্রশ্ন হল, শেষ পর্যন্ত কি সফল হবে বাংলাদেশ? আমার মনে হয়, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। কেন মনে হচ্ছে, সেটা জানতে চাচ্ছেন তো? তাহলে শুনুন।

মিয়ানমার অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে বাংলাদেশের চেয়ে মোটেই এগিয়ে থাকা কোনো রাষ্ট্র নয়। বর্বরতা আর দস্যুতা দিয়ে একটি দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা হতে পারে না। বাংলাদেশ সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া একটি রাষ্ট্র।১৯৭১ এ প্রায় শূন্য হাতেই বলা যায়, পাকিস্তানী আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করে সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম আমরা। আর বাংলাদেশের এখন তিনটি নিয়মিত বাহিনী আছে। সেনা, বিমান এবং নৌ-তিন বাহিনী ক্রমাগত আধুনিকায়নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। সাবমেরিন, মিগ-২৯ এর মত অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র আছে আমাদের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম প্রশিক্ষিত বাহিনী। প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম আছে আমাদের সেনাবাহিনীর। আছে কয়েক কোটি সাহসী বাঙালি। যারা কোনো অস্ত্র ছাড়াই যুদ্ধ করতে জেতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করবে না। অকাতরে নিজের জীবন বিসর্জন দেবে এই বীর জনতা। মিয়ানমার তাই আমাদের সাথে যুদ্ধ করে কুলিয়ে উঠতে পারবে না।

কেউ কেউ বলেন, চীন, ভারত বা রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে নেই। এমন ভাবনা সামরিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়। বাংলাদেশ ছাড়াপুরো দক্ষিণ এশিয়াতে ভারতের কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। ভারত নিজের কয়েকটি রাজ্যে এবং আঞ্চলিক রাজনীতির স্বার্থে মিয়ানমারকে মুখে মুখে সাপোর্ট দিলেও বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ফেলতে পারবে না। মিয়ানমারের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কোনোমতেই হারাতে চাইবে না ভারত। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সীমান্তবর্তী তৎপরতা বন্ধে বাংলাদেশের ভূমিকা মুখে স্বীকার না করলেও আজীবন মনে রাখবে ভারত।

ভারত এবং চীন উভয়ই একই অবস্থানে মিয়ানমারকে সাপোর্ট দিবে, এটা জীবনেও হবে না। কদিন আগেই ভারত-চীন যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা দেখেছে বিশ্ববাসী। সেই চীন এখন ভারতের সাথে মিলে মিয়ানমারকে সহায়তা করবে এটা ভাবার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বাকি রইল, ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখা রাশিয়া (ভূতপূর্ব সোভিয়েত ইউনিয়ন)। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বাংলাদেশকে তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো পাওয়ার দিয়ে সহযোগিতা করেছিল আর বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র বর্তমান বাংলাদেশকে রাশিয়া সহযোগিতা করবে না, এটা বিশ্বাস করা যায় না। সরকারের উচিত রাশিয়া, চীনে বিশেষ দূত প্রেরণ করা। শুধু ভারত কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে পড়ে থাকলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো কাজের কাজ হবেনা। সাংবাদিক এবং সরকার সবার কাছে অনুরোধ, চীন এবং রাশিয়ার সরকারকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করে হবে। ভারত নিজের স্বার্থে খুব বেশি গা লাগাবে না। চীন এবং রাশিয়াকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসেব দেখিয়ে কাছে টানতে হবে। একমাত্র চীন এবং রাশিয়াই পারে আমাদের প্রকৃত উপকার করতে। চীন এদেশে ব্যবসা চায়, বন্দর তৈরি করতে চায়। ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য রাশিয়ার একটা দায়িত্ব আছে আমাদের প্রতি। দরকার হলে কোটি কোটি ডলার দিয়ে অস্ত্র কেনার চুক্তি করতে হবে রাশিয়ার সাথে। এমনিতেও আমাদের সামরিক শক্তি বাড়াতেই হবে।তবে পুরো প্রক্রিয়ায় সফল হতে গেলে আমাদের দরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা।

লেখকঃ শিক্ষক ও সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :