নড়াইলে শিশুকে অমানবিক নির্যাতন
নড়াইল সদর উপজেলার দক্ষিণ বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মীম খাতুন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পরিবারকর্তৃক নির্যাতনের শিকার হওয়ায় চিকিৎসাসেবা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে মীম।
বাবা আহাদ মোল্যা (৩৮) মীমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহাদ পলাতক রয়েছেন।
প্রতিবেশীসহ স্থানীয়রা জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বাগডাঙ্গা গ্রামের আহাদ মোল্যা তার শিশুকন্যা মীমকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করেন। মীমের দুই চোখ, মুখ, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করা হয়। মীমের বাবা তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক আচরণ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, আহাদ মোল্যার নির্যাতনের শিকার হয়ে বেশ আগেই মীমের মা তার (আহাদ) সংসার ছেড়ে চলে গেছেন। মা কাছে না থাকার সুযোগে মীমের ওপর প্রায়ই নির্যাতন করা হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ইউনুস আহমেদ জানান, আহত অবস্থায় মীমকে শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার ভাই। তার চোখ-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মীমকে যথাযথ চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়।
এদিকে সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মীমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। বাড়িতে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)