বাল্যবিয়ে বন্ধ করে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:৫১

কতই বা বয়স ওদের। একজন অষ্টম শ্রেণিতে এবং আরেকজন নবম শ্রেণিতে পড়ছে। দুজনেই দেলদুয়ার উপজেলা সদরের শাফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। কৈশোরের যে সময়টাতে ওদের চোখে কুঁড়ি মেলছে আগামীর স্বপ্ন, ঠিক তখনই অসচেতন অভিভাবকের ভুল ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের বলি হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার উপক্রম হয়েছিল তাদের।

উপজেলা প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে তাদের বিয়ে। আঠারো বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তাদের বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকেরা প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকারনামা দাখিল করেছেন। দুই ছাত্রীর স্কুলের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্যও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের টুকনিখোলা ও মাদারকোল গ্রামের ওই দুই ছাত্রীর বিয়ের আগাম তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদত হোসেন কবির। এক ছাত্রীর বাড়িতে ইউপি মেম্বার ও গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়। পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহীন রুবা ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক শহীদুর রহমানের মাধ্যমে অভিভাবককে সতর্ক করা হয়।

অন্যদিকে ইউএনওর নির্দেশে সোমবার উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী মাদারকোল গ্রামে আরেক ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক বিয়ে বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশকিছু সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। মূলত তার ফলই এখন পাওয়া যাচ্ছে। ছাত্রীরা স্ব-উদ্যোগে নিজেদের বাল্যবিবাহের তথ্য আমাদের জানাচ্ছে। এটি খুবই ইতিবাচক। পাশাপাশি অভিভাবকরা সচেতন ও উদ্যোগী হলে দেলদুয়ারকে অচিরেই শতভাগ বাল্যবিয়েমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব হবে। বর্তমানে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি সম্প্রতি দুইজন কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে তার পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/আরকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :