দুর্গার অপেক্ষায় টাঙ্গাইলের সহস্রাধিক পূজামণ্ডপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
 | প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:০৬

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকটাই শেষ পর্যায়ে। চলছে প্রতিমার শরীরে মাটির শেষ আঁচড় দেওয়ার কাজ। আবার কোনো কোনো প্রতিমায় শেষ আঁচড় দিয়ে শুকানো হচ্ছে প্রতিমার প্রতিকৃতি। আবার কোথাও রং তুলির আঁচড়ে চলছে প্রতিমাকে সাজানোর কাজ।

জানা গেছে, এবার টাঙ্গাইল জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৮১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মণ্ডপ এখন দুর্গার অপেক্ষায়। নৌকাযোগে দুর্গা আসবে এই প্রতীক্ষায় ভক্তরা।

২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর বেলপাতা বরণের মধ্য দিয়ে দেবীদুর্গার আগমন ঘটবে। ২৭ সেপ্টেম্বর নবপত্রিকা পূজা (কলাবউ পূজা) মধ্য দিয়ে সপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর কুমারী পূজা ও সন্ধিপূজার মধ্য দিয়ে অষ্টমী, ২৯ সেপ্টেম্বর দূর্গা বলিদান ও নবমী যজ্ঞের মধ্য দিয়ে মহানবমী অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হবে এবারের দুর্গাপূজার কার্যক্রম।

জেলার বেশ কয়েকটি মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তের কাজ করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। অনেকে রং তুলির আঁচড় দিয়ে দেবী দুর্গাকে রং দিচ্ছেন। অনেকেই আবার প্রতিমার প্রাথমিক রূপ দেখতে ভিড় করছেন।

টাঙ্গাইল বড় কালিবাড়ীর পূজা মণ্ডপের কারিগর ছানা চন্দ্র পাল বলেন, পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমি প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। এবার দুর্গাপূজায় বড় কালিবাড়ী ছাড়াও আমি আরও তিনটি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি করেছি। পূজা আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এখন চলছে শেষ মূহূর্তের কাজ। এখন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করছি।

টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, জেলায় এবার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ৮১টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেয়ে থাকি। আশা করছি এবারের পাব।

তিনি আরও বলেন, করটিয়ার একটি মণ্ডপকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছি। আশা করছি অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পূজা সুষ্ঠু এবং সুন্দর করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।

টাঙ্গাইল জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুকুল চন্দ্র সাহা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ এবং আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মাহবুব আলম জানান, দুর্গাপূজার সময় আইনশৃঙ্খলা সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি মণ্ডপে আনসারের পাশাপাশি থাকবে পুলিশ। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স সবসময় মাঠে কাজ করবে। রাত আটটার মধ্যে প্রতিদিনের পূজার আনুসাঙ্গিকতা শেষ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :