স্থানীয়দের বাধায় ময়মনসিংহে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ বন্ধ

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৪

এলাকাবাসীর বাধায় ময়মনসিংহে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ বন্ধ হয়ে আছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সেখানে শব্দ দূষণসহ পরিবেশ বিপর্যয় এবং নানা কুফল হবে দাবি করে স্থানীয়রা সেটি নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে কোম্পানির লোকজন কাজ করা থেকে বিরত রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার পর্যন্তও এ অবস্থা রিরাজ করছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ময়মনসিংহ-উত্তরবঙ্গ সড়কের পাশে মুক্তাগাছার সাতাশিয়া ১ একর সাড়ে ৩১ শতাংশ জমি কিনে ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লিমিটিড নামের একটি কোম্পানি। ২১ আগস্ট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকায় সম্পাদিত দলিলে দেখা যায় জমির বিক্রেতা সতাশিয়ার হযরত আলী। ক্রেতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইউনাইটেড পাওয়ার লিমিটিড, গুলশান -২ ঢাকা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখানে মাটি ভারাটকালে, কর্মরত শ্রমিকরা প্রথমে আমাদের জানিয়েছে, গার্মেন্টস হবে। পরে বলেন সিরামিক কারখানা হবে। এখন দেখছি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সরঞ্জাম। সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় কাজের তথ্য সম্পর্কিত কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি।

প্রকল্প এলাকায় কাজে বাধা দিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন। এতে রবিবার ঘটনাস্থলে যান মুক্তাগাছার এমপি সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া হারুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকার, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিম মো. মকবুল হোসেন, ইউনাইটেড গ্রুপের প্রকল্প পরিচালক চন্দ্র শেখর, মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল হক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান অতুন, সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক ফেরদৌস আলম প্রমুখ।

ঘটনাস্থলে প্রকল্পের পরিচালক চন্দ্র শেখর বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে। পরিবেশ বিপর্যয় হবে না।

এমপি সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি বলেন, মুক্তাগাছার মাটিতে জনগণের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না। বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন হলে মুক্তাগাছার উন্নয়ন হবে, দেশের উন্নয়ন হবে। একথা যেমন সত্যি, তেমনি জনগণের ক্ষতি হয় সে রকম কোন কাজ করা যাবে না। এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান গড়তে গেলে অবশ্যই জনগণ সহযোগিতা করবে। করতে হবে জনগণের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করে।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এমডি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :